রেজাউল করিম নয়ন:
হাজীগঞ্জ পৌর ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছে ৯৬’র ত্যাগী ছাত্রনেতা মোশারফ হোসেন মশু। সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন তিনি। মোশারফ হোসেন মশু ১০নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমুড়া বেপারি বাড়ির মৃত মো. আব্দুল মালেকের ছেলে। তার পরিবার মোশারফ হোসেন মশু ১৯৯৬ সালের অসহযোগ আন্দোলন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন।
ওই সময়ে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার শিক্ষার হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালে শয্যায় থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক সময়ে বিএনপি অধ্যুষিত হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমুড়া গ্রামে মামলা হামলা নির্যাতনের শিকার ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে অন্যতম মোশারফ হোসেন মশু।
মোশারফ হোসেন মশু বলেন, ১৯৯৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর পরই বিএনপি সরকার হঠানোর অসহযোগ আন্দোলন থেকে দীর্ঘ সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। রাজনীতি করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকার হয়েছি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলা মামলায় মাসের পর মাস, এমনকি কয়েক বছর বাড়ি ঘরে যেতে পারিনি পালিয়ে পালিয়ে জীবন-যাপন করতে হয়েছে। কোন দিন কোন পদ-পদবীর লোভ করিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে তা সুষ্ঠু পরিবেশে বাস্তবায়ন করতে আমি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করছি ।
আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। রাজনীতিতে যদি আমার কোন ত্যাগ শ্রম থাকে তবে নেতাকর্মীরা আমাকে ভোটের মাধ্যমে মূল্যায়ন করবে। এ জন্য ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।