কসবায় ও উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছেকিনা খতিয়ে দেখা হবে:প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৫:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৪

অনলাইন ডেস্ক:

বিএনপির শাসনামলে রেল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিএনপি আমলের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘এক সময় আমাদের দেশের রেল যোগাযোগটা প্রায় বন্ধই করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, ‘এ দুর্ঘটনার পেছনে অন্য কোনো দুরভিসন্ধি বা চক্রান্ত রয়েছে কি না তা তদন্ত করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নেব।’

প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা দেখি এ ধরনের ঘটনার পরপরই আরো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। কেন ঘটে তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।’

শীতকাল এলেই কুয়াশার কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা বৃদ্ধির বিপরীতে কী করা যেতে পারে তার সরকার সেটা ভেবে দেখা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলের পুনরুজ্জীবন ঘটে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরনো যে সব রেললাইন ও ব্রিজ রয়েছে সেগুলো মেরামতের পাশাপাশি নতুন লাইনসহ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।

যেখানে যত পুরনো রেললাইন ও রেল ব্রিজ রয়েছে সেগুলো সংস্কার এবং মানসম্মত করতে একটি প্রকল্প গ্রহণের জন্যও রেলমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় রেলের জনবল বৃদ্ধি এবং তাদের প্রশিক্ষণেও তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি এক সময় রেল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে সেখানে লোক নিয়োগ এবং রেললাইন মেরামতের কাজও বন্ধ ছিল। এতে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়ে গেছে। এখন সেটাই আমরা পূরণের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে মঙ্গলবার ভোররাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেন উদয়ন এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নিশিথা ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি, খাদ্যে ভেজাল, চলমান সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক বিরোধী অভিযান, মেট্রো রেল, দেশে পারমাণবিক এবং কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, বুয়েটের ছাত্র আন্দোলন এবং শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

খবর বাসস।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ঋণের কথা বলে শাহবাগে সমাবেশের ডাক, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক মোস্তফা আটক

কসবায় ও উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছেকিনা খতিয়ে দেখা হবে:প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

বিএনপির শাসনামলে রেল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিএনপি আমলের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘এক সময় আমাদের দেশের রেল যোগাযোগটা প্রায় বন্ধই করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, ‘এ দুর্ঘটনার পেছনে অন্য কোনো দুরভিসন্ধি বা চক্রান্ত রয়েছে কি না তা তদন্ত করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নেব।’

প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা দেখি এ ধরনের ঘটনার পরপরই আরো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। কেন ঘটে তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।’

শীতকাল এলেই কুয়াশার কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা বৃদ্ধির বিপরীতে কী করা যেতে পারে তার সরকার সেটা ভেবে দেখা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলের পুনরুজ্জীবন ঘটে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরনো যে সব রেললাইন ও ব্রিজ রয়েছে সেগুলো মেরামতের পাশাপাশি নতুন লাইনসহ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।

যেখানে যত পুরনো রেললাইন ও রেল ব্রিজ রয়েছে সেগুলো সংস্কার এবং মানসম্মত করতে একটি প্রকল্প গ্রহণের জন্যও রেলমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় রেলের জনবল বৃদ্ধি এবং তাদের প্রশিক্ষণেও তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি এক সময় রেল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে সেখানে লোক নিয়োগ এবং রেললাইন মেরামতের কাজও বন্ধ ছিল। এতে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়ে গেছে। এখন সেটাই আমরা পূরণের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে মঙ্গলবার ভোররাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেন উদয়ন এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নিশিথা ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি, খাদ্যে ভেজাল, চলমান সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক বিরোধী অভিযান, মেট্রো রেল, দেশে পারমাণবিক এবং কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, বুয়েটের ছাত্র আন্দোলন এবং শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

খবর বাসস।