বিশ্বে রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার

  • আপডেট: ০১:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
  • ২২

অনলাইন ডেস্ক:

বৃহস্পতিবার দেশের বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। বুধবার দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে কেজি ১৬৫ ও খুচরায় ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বুধবারই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দামে বাংলাদেশের পেঁয়াজ রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার নিজেকেই ছাড়িয়ে গেল সেই দর।

বর্তমানে পেঁয়াজের এ দাম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের পর শ্রীলঙ্কায় ১৬০, পাকিস্তানে ১৪০ ও ভারতে ৬০-৬৫ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ পাইকারিতে ১৪০ ও খুচরায় ১৭০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অস্থির হয় পেঁয়াজের বাজার। ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত।  তখন কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হতে থাকে ১০০ টাকার কাছাকাছি দরে।

বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ বিক্রেতা জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজের মজুতও প্রায় শেষ। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে পেঁয়াজ পরিবহনে বিঘ্ন ঘটায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহেও ছিল ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সরকার-মজুদদার ও আড়তদার মিলে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়। গত শুক্রবার প্রায় সব আড়তে বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি শুরু করে। কিন্তু পরের দিন শনিবার থেকে লোকসানের অজুহাতে মজুদদাররা আড়তে পেঁয়াজ দেওয়া কমিয়ে দেয়। এরপর রবি ও সোমবার পেঁয়াজ দেয়নি বেশিরভাগ মজুদদার।

মঙ্গলবার অল্প কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকেছে। তবে আড়তদারদের মজুদদার জানান, তাদের নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে শ্যামবাজারে আর পেঁয়াজ দেওয়া হবে না। এ কারণেই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে গত বৃহস্পতিবার সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম ছিল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০, মিয়ানমারের ৮৫ এবং চীন, মিসর ও তুরস্কের ৬০ টাকা।

রাজধানীসহ সারা দেশের প্রতিদিনের বাজারদর পর্যবেক্ষণ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ ও আমদানি করা ১২৫ টাকা। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ ও আমদানির ২০ টাকা।

অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, গত ১১ নভেম্বর দেশি পেঁয়াজ ১৩০ ও আমদানির ১২০ টাকা, ৭ নভেম্বর দেশি ১২০ ও আমদানি ১১০, ৬ নভেম্বর দেশি পেঁয়াজের কেজি ১২৫ ও আমদানি ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অধিদপ্তরের তথ্যের সঙ্গে বাজারের চিত্র ভিন্ন। বাস্তবে দাম আরও বেশি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

বিশ্বে রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার

আপডেট: ০১:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

বৃহস্পতিবার দেশের বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। বুধবার দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে কেজি ১৬৫ ও খুচরায় ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বুধবারই দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দামে বাংলাদেশের পেঁয়াজ রেকর্ড গড়েছে। বৃহস্পতিবার নিজেকেই ছাড়িয়ে গেল সেই দর।

বর্তমানে পেঁয়াজের এ দাম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের পর শ্রীলঙ্কায় ১৬০, পাকিস্তানে ১৪০ ও ভারতে ৬০-৬৫ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ পাইকারিতে ১৪০ ও খুচরায় ১৭০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অস্থির হয় পেঁয়াজের বাজার। ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত।  তখন কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হতে থাকে ১০০ টাকার কাছাকাছি দরে।

বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ বিক্রেতা জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজের মজুতও প্রায় শেষ। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে পেঁয়াজ পরিবহনে বিঘ্ন ঘটায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহেও ছিল ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সরকার-মজুদদার ও আড়তদার মিলে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়। গত শুক্রবার প্রায় সব আড়তে বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি শুরু করে। কিন্তু পরের দিন শনিবার থেকে লোকসানের অজুহাতে মজুদদাররা আড়তে পেঁয়াজ দেওয়া কমিয়ে দেয়। এরপর রবি ও সোমবার পেঁয়াজ দেয়নি বেশিরভাগ মজুদদার।

মঙ্গলবার অল্প কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকেছে। তবে আড়তদারদের মজুদদার জানান, তাদের নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে শ্যামবাজারে আর পেঁয়াজ দেওয়া হবে না। এ কারণেই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে গত বৃহস্পতিবার সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম ছিল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০, মিয়ানমারের ৮৫ এবং চীন, মিসর ও তুরস্কের ৬০ টাকা।

রাজধানীসহ সারা দেশের প্রতিদিনের বাজারদর পর্যবেক্ষণ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে ১৩৫ ও আমদানি করা ১২৫ টাকা। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ ও আমদানির ২০ টাকা।

অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, গত ১১ নভেম্বর দেশি পেঁয়াজ ১৩০ ও আমদানির ১২০ টাকা, ৭ নভেম্বর দেশি ১২০ ও আমদানি ১১০, ৬ নভেম্বর দেশি পেঁয়াজের কেজি ১২৫ ও আমদানি ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অধিদপ্তরের তথ্যের সঙ্গে বাজারের চিত্র ভিন্ন। বাস্তবে দাম আরও বেশি।