ট্রেন দূর্ঘটনায় চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জের ৩জন নিহত, আহত-৯, নিখোঁজ, ২

  • আপডেট: ০৯:২৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯
  • ৪০

চাঁদপুর, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ নামক স্থানে দুটি ট্রেনে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ১৬ যাত্রী। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর ও হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩জন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় চাঁদপুর সদরের একই পরিবারের আহত হয়েছেন ৭জনসহ ৯জন এবং নিখোঁজ রয়েছে আরো ২জন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর ২টা ৫৬ মিনিটে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্ত:নগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কসবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চাঁদপুরের হাইমচরের রহিমা বেগম

চাঁদপুরে নিহতরা হলেন- হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের বেপারী বাড়ীর মৃত আব্দুুল জলিলের ছেলে মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৪২)। অপর নিহত ফারজানা আক্তার (২০) সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বালিয়া গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে। ফারজানা বিবাহিত। শহরের নাজির পাড়া দেওয়ান বাড়ীর মোহন দেওয়ানের স্ত্রী।

আরো পড়ুন :আহত শিশু নাইমার বাড়ী চাঁদপুরে, খোঁজ মিলছেনা মা ও দাদীর

আহতরা হলেন নিহত ফারজানার মা বেবী বেগম (৪০), ভাই হাসান বেপারী (২৮), নানী ফিরোজা বেগম (৭০), ফারজানার মামি শাহিদা বেগম (৪০), মামাত বোন মিতু (১৭), ইলমা (৭) ও মামত ভাই জুবায়ের (৩), হাইমচরের রহিমা বেগম (৪৫), চাঁদপুরের মাইনুদ্দীনের মেয়ে নাইমা (৫) আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার স্ত্রী কাকলী ও মা নিখোঁজ রয়েছে।

আরো পড়ুন : কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হাজীগঞ্জের মজিব ও কুলসুমার মৃতদেহ আসছে আজ

নিহত ফারজানার দাফন করার জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আরো পড়ুন: ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত হাজীগঞ্জের স্বামী-স্ত্রীর লাশ সনাক্ত করলেন ভাতিজা শাহাদৎ

অপরদিকে হাজীগঞ্জে নিহত মজিবুর রহমান ও কুলসুমা বেগম এর মরদেহ বাড়িতে আনার জন্য চাঁদপুর থেকে তার স্বজনরা ব্রাহ্মবাড়িয়া রওয়ান হয়েছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

কিস্তির আসায় হাজীগঞ্জ থেকে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ গেলো ঢাকায়!

ট্রেন দূর্ঘটনায় চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জের ৩জন নিহত, আহত-৯, নিখোঁজ, ২

আপডেট: ০৯:২৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯

চাঁদপুর, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ নামক স্থানে দুটি ট্রেনে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ১৬ যাত্রী। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর ও হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩জন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় চাঁদপুর সদরের একই পরিবারের আহত হয়েছেন ৭জনসহ ৯জন এবং নিখোঁজ রয়েছে আরো ২জন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর ২টা ৫৬ মিনিটে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্ত:নগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কসবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চাঁদপুরের হাইমচরের রহিমা বেগম

চাঁদপুরে নিহতরা হলেন- হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের বেপারী বাড়ীর মৃত আব্দুুল জলিলের ছেলে মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৪২)। অপর নিহত ফারজানা আক্তার (২০) সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বালিয়া গ্রামের বিল্লাল বেপারীর মেয়ে। ফারজানা বিবাহিত। শহরের নাজির পাড়া দেওয়ান বাড়ীর মোহন দেওয়ানের স্ত্রী।

আরো পড়ুন :আহত শিশু নাইমার বাড়ী চাঁদপুরে, খোঁজ মিলছেনা মা ও দাদীর

আহতরা হলেন নিহত ফারজানার মা বেবী বেগম (৪০), ভাই হাসান বেপারী (২৮), নানী ফিরোজা বেগম (৭০), ফারজানার মামি শাহিদা বেগম (৪০), মামাত বোন মিতু (১৭), ইলমা (৭) ও মামত ভাই জুবায়ের (৩), হাইমচরের রহিমা বেগম (৪৫), চাঁদপুরের মাইনুদ্দীনের মেয়ে নাইমা (৫) আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার স্ত্রী কাকলী ও মা নিখোঁজ রয়েছে।

আরো পড়ুন : কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হাজীগঞ্জের মজিব ও কুলসুমার মৃতদেহ আসছে আজ

নিহত ফারজানার দাফন করার জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আরো পড়ুন: ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহত হাজীগঞ্জের স্বামী-স্ত্রীর লাশ সনাক্ত করলেন ভাতিজা শাহাদৎ

অপরদিকে হাজীগঞ্জে নিহত মজিবুর রহমান ও কুলসুমা বেগম এর মরদেহ বাড়িতে আনার জন্য চাঁদপুর থেকে তার স্বজনরা ব্রাহ্মবাড়িয়া রওয়ান হয়েছেন।