অনলাইন ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা নিহতেদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করছেন।
পরিচয় পাওয়া নিহতদের মধ্যে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়ন পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের বেপারি বাড়ীর মৃত আবদুল জলিলের ছেলে আ. জলিলের ছেলে মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২) রয়েছে।
নিহত মো. মজিবুর রহমানের ৪ ছেলে। নিহত মজিবুর রহমান ও তার ছেলেরা মিলে শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন প্রসাধনী ফেরি করে খুচরা দোকানে পাইকারি বিক্রয় করে।
রাজারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক এবং হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য মো. আলমগির হোসেন জানান, মজিবুর রহমানের পরিবারের কেউ এলাকায় থাকেনা। তবে তার শশুর বাড়ীর সবাই এলাকায় থাকে। এ ঘটনায় মজিবুর রহমানের শশুর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। হতহতদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে ঢুকছিল। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথাকে আউটারে থাকার সিগনাল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিগনাল অমান্য করে মূল লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার কোনো দোষ নেই।