বুলবুল যেসব জেলায় আঘাত হানবে

  • আপডেট: ০১:৪৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৯

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। এটি শনিবার সন্ধ্যার পর দেশ দুটির উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি বা বাংলাদেশ মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট) বিজ্ঞানীরা বলেছেন, উপকূলের ১৯ জেলায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে। এর মধ্যে ১৩ জেলা বেশি ঝুঁকিতে। ঝড়ের সঙ্গে উপকূলীয় জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছুটি বাতিল করে ১৩ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

যেসব জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে সেগুলো হলো- সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ‘বুলবুল’ উপকূল অতিক্রমকালে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। আর বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ উঠতে পারে ১৪৪ কিলোমিটার। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে বুলবুলের ঘূর্ণনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। উপকূল অতিক্রমের আগে এটি কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মাঝরাতের মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ওপর আঘাত হানতে পারে। এর একটি অংশ ভারতের সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত হানার আগে কিছুটা দুর্বল হওয়ার সম্ভবনা আছে।

বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বুলবুলের গতি হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। এটি শনিবার মধ্যরাতের দিকে উপকূল অতিক্রমের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ৬ ঘণ্টা আগেই এটি আছড়ে পড়তে পারে। সেই হিসাবে সন্ধ্যার পরপরই এটি আঘাত হানতে পারে। এর আগে দুপুর থেকেই এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব পড়তে শুরু করবে। ঢাকা পর্যন্ত এর প্রভাব টের পাওয়া যাবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

বুলবুল যেসব জেলায় আঘাত হানবে

আপডেট: ০১:৪৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। এটি শনিবার সন্ধ্যার পর দেশ দুটির উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি বা বাংলাদেশ মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট) বিজ্ঞানীরা বলেছেন, উপকূলের ১৯ জেলায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে। এর মধ্যে ১৩ জেলা বেশি ঝুঁকিতে। ঝড়ের সঙ্গে উপকূলীয় জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছুটি বাতিল করে ১৩ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

যেসব জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে সেগুলো হলো- সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ‘বুলবুল’ উপকূল অতিক্রমকালে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। আর বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ উঠতে পারে ১৪৪ কিলোমিটার। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে বুলবুলের ঘূর্ণনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। উপকূল অতিক্রমের আগে এটি কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মাঝরাতের মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ওপর আঘাত হানতে পারে। এর একটি অংশ ভারতের সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত হানার আগে কিছুটা দুর্বল হওয়ার সম্ভবনা আছে।

বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বুলবুলের গতি হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। এটি শনিবার মধ্যরাতের দিকে উপকূল অতিক্রমের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ৬ ঘণ্টা আগেই এটি আছড়ে পড়তে পারে। সেই হিসাবে সন্ধ্যার পরপরই এটি আঘাত হানতে পারে। এর আগে দুপুর থেকেই এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব পড়তে শুরু করবে। ঢাকা পর্যন্ত এর প্রভাব টের পাওয়া যাবে।