অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে চাঁদপুরসহ সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়া মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে সব কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবির এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘৭ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করার পর আমরা সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনও নৌযান চলবে না।’
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মাওয়া ফেরিঘাটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ফেরি বন্ধ করা হবে। তবে আরিচায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঝড়টি বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঝড়টি আরও এগিয়ে এসেছে। এখন সেটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। একইভাবে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল, শুক্রবার সকালে সেটি ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার ছিল ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, আজ সেটি ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে গতকাল ছিল ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, এখন ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।