নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সরকারের সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল। বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান তিনি। তিনি বলেন, গত বছরগুলোর মত এবারও সরকার সফলভাবে ঝড়ের মোকাবেলা করবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা সমূহ হলো, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও ভোলা। ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আগামীকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
দুর্যোগ সচিব জানান, ৫৫ হাজার ৫১৫ স্বেচ্ছাসেবক বুলবুলের ঝুঁকি মোকাবেলায় কাজ করছে। ১১ জেলায় সতর্কতা সংকেত অনুযায়ী সিগনাল পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব মোকাবেলায় ইতিমধ্যে ১১ জেলায় শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ‘বুলবুল’র কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের নৌ-যানকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন কয়েকশ’ পর্যটক। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল। সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসতে পারে।