একাই দুজনকে গলা কেটে হত্যা করে গৃহকর্মী

  • আপডেট: ০২:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৩

ডেস্ক নিউজ:

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ফ্ল্যাটে জোড়া খুনের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে গৃহকর্মী সুরভী আক্তার নাহিদা (২২)। জবানবন্দিতে সে জানায়, দুই নারীকে একাই খুন করেছে।

৫ দিনের রিমান্ড চলাকালে দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয় সুরভী। পরে তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. রবিউল আলম।

ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারী আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

১ নভেম্বর রাতে ধানমণ্ডির ২৮ নম্বর রোডের একটি ভবনের পঞ্চম তলা থেকে আফরোজা বেগম (৬৫) ও তার গৃহকর্মী দিতির (১৮) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর নিহত আফরোজার মেয়ে দিলরুবা সুলতানা রুবা (৪২) ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন।

৫ নভেম্বর নাহিদাসহ মামলার ৫ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। রিমান্ডে থাকা বাকি আসামিরা হল- বাসার ম্যানেজার মো. গাউসুল আযম প্রিন্স (৪২), সিকিউরিটি গার্ড মো. নুরুজ্জামান (৪২), রুবার স্বামীর বডিগার্ড বাচ্চু (৩৪) ও ইলেকট্রিশিয়ান মো. বেলায়েত হোসেন (৩২)।

জবানবন্দিতে সুরভী জানায়, সে গার্মেন্টে কাজ করত। তার চাকরি চলে গেলে বাচ্চুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বাচ্চু তাকে ওই বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে নিয়ে যায়।

কিন্তু ওই বাসায় যাওয়ার পর তাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সে থাকতে চায়নি। সুরভী চলে যেতে চাইলে তাকে যেতেও দেয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একাই তাদের খুন করে বলে জানায় সে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

একাই দুজনকে গলা কেটে হত্যা করে গৃহকর্মী

আপডেট: ০২:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯

ডেস্ক নিউজ:

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ফ্ল্যাটে জোড়া খুনের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে গৃহকর্মী সুরভী আক্তার নাহিদা (২২)। জবানবন্দিতে সে জানায়, দুই নারীকে একাই খুন করেছে।

৫ দিনের রিমান্ড চলাকালে দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয় সুরভী। পরে তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. রবিউল আলম।

ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারী আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

১ নভেম্বর রাতে ধানমণ্ডির ২৮ নম্বর রোডের একটি ভবনের পঞ্চম তলা থেকে আফরোজা বেগম (৬৫) ও তার গৃহকর্মী দিতির (১৮) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর নিহত আফরোজার মেয়ে দিলরুবা সুলতানা রুবা (৪২) ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন।

৫ নভেম্বর নাহিদাসহ মামলার ৫ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। রিমান্ডে থাকা বাকি আসামিরা হল- বাসার ম্যানেজার মো. গাউসুল আযম প্রিন্স (৪২), সিকিউরিটি গার্ড মো. নুরুজ্জামান (৪২), রুবার স্বামীর বডিগার্ড বাচ্চু (৩৪) ও ইলেকট্রিশিয়ান মো. বেলায়েত হোসেন (৩২)।

জবানবন্দিতে সুরভী জানায়, সে গার্মেন্টে কাজ করত। তার চাকরি চলে গেলে বাচ্চুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বাচ্চু তাকে ওই বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে নিয়ে যায়।

কিন্তু ওই বাসায় যাওয়ার পর তাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সে থাকতে চায়নি। সুরভী চলে যেতে চাইলে তাকে যেতেও দেয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একাই তাদের খুন করে বলে জানায় সে।