হাজীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে বখাটে আটক

  • আপডেট: ০২:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৬

বিশেষ প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক মো. আল মামুন ফরহাদ (২০) নামে এক বখাটে যুবককে আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। যৌন হয়রানির শিকার ঐ ছাত্রী উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা ভূঁইয়া বাড়ির মোয়াজ্জেম হোসেন সোহলের মেয়ে (১৫)। সে বর্তমানে সাদ্রা মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। এ ঘটনায় তিন বখাটে যুবককে অভিযুক্ত করে ৩ নভেম্বর ছাত্রীর মা মোসা. রুজিনা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে যৌন হয়রানির দায়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-৪, তারিখ ৩/১১/২০১৯।
এ মামলায় অভিযুক্ত তিন যুবক ওই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মো. আল মামুন ফরহাদ (২০), প্রতাপপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে ফারহান আহম্মেদ সোহান (১৯), একই গ্রামের বখাটে যুবক শাহজাদা (১৯)।
থানা পুলিশ এবং অভিযোগের ভাষ্যমতে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাওয়া আসামর সময় এ তিন বখাটে রাস্তায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছে। গত ২ নভেম্বর শনিবার আনুমানিক বেলা ১২টায় সময় ঐ ছাত্রীসহ অন্যান্য ছাত্রীরা আসার পথে তিন যুবকের হাতে ইভটিজিং এর শিকার হয়। আটককৃত যুবক ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে মোবাইল নাম্বার চায় এবং বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে বাজে মন্তব্য করে আসছিল। এক পর্যায়ে ছাত্রী’র শ্লীলতাহানী করলে স্থানীয়রা যুবকদের ধাওয়া করলে দুই যুবক পালিয়ে যায়। এসময় মো. আল মামুন ফরহাদ (২০) এক যুবককে আটক করে পুলিশের সোর্পদ করা হয়।
এ দিকে তিন যুবককে ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ইউনিয় আওয়ামীলীগ এবং যুবলীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা মেয়ের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে চাপ-সৃষ্টি করছে বলে জানা যায়। মামলার বাদীর মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে শিপন নামের এক ব্যক্তি জানান থানায় মামলা হয়েছে কিন্তু আমরা মামলা করতে চাইনি। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মামলা করতে বাধ্য করেছেন । বাদী মোসা. রুজিনা আক্তার এর সাথে কথা বলতে চাইলে স্থানীয় এক যুবকলীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে শিপন মোবাইল কেটে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানায় যায়, আটককৃত যুবক মো. আল মামুন ফরহাদ ও তার সহযোগিরা বিভিন্ন সময়ে বেলচোঁ সমেষপুর ফেরিঘাট সড়কের গোবিন্দপুর এলাকায় সড়কে দাঁড়িয়ে ছাত্রীদের ইভটিজিং করে। এদের ভয়ে ছাত্রীরা স্কুল মাদ্রাসায় যাওয়া করতে পারে না। এমনকি ছাত্রীদের অনেকেই ইভটিজারদের কারণে লেখা-পড়া বন্ধের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বেলাল আহম্মেদ বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক এবং স্থানীয়রা যুবককে আটক করলে আমরা থানায় নিয়ে আসি। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করে যুবককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হাজীগঞ্জের মাহবুব আলম ২ দিনের রিমান্ডে

হাজীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে বখাটে আটক

আপডেট: ০২:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯

বিশেষ প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক মো. আল মামুন ফরহাদ (২০) নামে এক বখাটে যুবককে আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। যৌন হয়রানির শিকার ঐ ছাত্রী উপজেলার ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা ভূঁইয়া বাড়ির মোয়াজ্জেম হোসেন সোহলের মেয়ে (১৫)। সে বর্তমানে সাদ্রা মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। এ ঘটনায় তিন বখাটে যুবককে অভিযুক্ত করে ৩ নভেম্বর ছাত্রীর মা মোসা. রুজিনা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে যৌন হয়রানির দায়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-৪, তারিখ ৩/১১/২০১৯।
এ মামলায় অভিযুক্ত তিন যুবক ওই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মো. আল মামুন ফরহাদ (২০), প্রতাপপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে ফারহান আহম্মেদ সোহান (১৯), একই গ্রামের বখাটে যুবক শাহজাদা (১৯)।
থানা পুলিশ এবং অভিযোগের ভাষ্যমতে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাওয়া আসামর সময় এ তিন বখাটে রাস্তায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছে। গত ২ নভেম্বর শনিবার আনুমানিক বেলা ১২টায় সময় ঐ ছাত্রীসহ অন্যান্য ছাত্রীরা আসার পথে তিন যুবকের হাতে ইভটিজিং এর শিকার হয়। আটককৃত যুবক ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে মোবাইল নাম্বার চায় এবং বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে বাজে মন্তব্য করে আসছিল। এক পর্যায়ে ছাত্রী’র শ্লীলতাহানী করলে স্থানীয়রা যুবকদের ধাওয়া করলে দুই যুবক পালিয়ে যায়। এসময় মো. আল মামুন ফরহাদ (২০) এক যুবককে আটক করে পুলিশের সোর্পদ করা হয়।
এ দিকে তিন যুবককে ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ইউনিয় আওয়ামীলীগ এবং যুবলীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা মেয়ের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে চাপ-সৃষ্টি করছে বলে জানা যায়। মামলার বাদীর মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে শিপন নামের এক ব্যক্তি জানান থানায় মামলা হয়েছে কিন্তু আমরা মামলা করতে চাইনি। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মামলা করতে বাধ্য করেছেন । বাদী মোসা. রুজিনা আক্তার এর সাথে কথা বলতে চাইলে স্থানীয় এক যুবকলীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে শিপন মোবাইল কেটে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানায় যায়, আটককৃত যুবক মো. আল মামুন ফরহাদ ও তার সহযোগিরা বিভিন্ন সময়ে বেলচোঁ সমেষপুর ফেরিঘাট সড়কের গোবিন্দপুর এলাকায় সড়কে দাঁড়িয়ে ছাত্রীদের ইভটিজিং করে। এদের ভয়ে ছাত্রীরা স্কুল মাদ্রাসায় যাওয়া করতে পারে না। এমনকি ছাত্রীদের অনেকেই ইভটিজারদের কারণে লেখা-পড়া বন্ধের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বেলাল আহম্মেদ বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক এবং স্থানীয়রা যুবককে আটক করলে আমরা থানায় নিয়ে আসি। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করে যুবককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।