চাঁদপুর, ৮ মে, শুক্রবার:
চাঁদপুর হতদরিদ্রদের চাল চুরির প্রতিবাদে বিএনপি সমর্থিত দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইউনিয়ন বাসী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ৬ নং মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল করেন ভুক্তভোগী।
ত্রাণ, ভিজিডি ও জেলেদের চাল কম দিয়ে বাকি চাল চুরি করার প্রতিবাদে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। জেলেদের চাল দেয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক ও ইউপি সচিব ইউনিয়ন পরিষদে না এসে বাড়িতে অবস্থান করায় অপেক্ষামান ভুক্তভোগী হতদরিদ্র জেলেরা ইউনিয়ন পরিষদে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অবস্থান করে।
মৈশাদী ইউনিয়ন এর বেশ কয়েকজন জেলে জানায়, জেলেদের চার কিস্তি চালের মধ্যে তিন কিস্তিতে চাল ২০ থেকে ২৫ কেজি চাল দিয়েছেন। হার অনুযায়ী ২৯ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও জনপ্রতি জেলের পাঁচ থেকে ছয় কেজি চাল কম দিয়েছে। বাকি চাল চুরি করে অন্য জায়গায় বিক্রি করেছে।
মহামারী করোনা ভাইরাসের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে ইউনিয়ন বাসিকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশনা দেয়।
ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড নেওয়া হলেও বিএনপি’র চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক তার মনোনীত ও স্বজনপ্রীতি দেখিয়ে বিএনপি’র লোকজনদের নামের তালিকা পাঠিয়েছেন। এলাকার কোন অসহায় ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগের হতদরিদ্র নেতাকর্মীদের নামের তালিকা দেয়নি ও কোন ধরনের সরকারি সহযোগিতা করেননি।
ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি লিটন সরকার জানান, বিএনপি’র মনোনীত চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক তার মনগড়া ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছেন। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা ইউনিয়ন বাসী পাচ্ছেনা। ইউনিয়নের জেলেদের চাল কম দেওয়ার কারনে জেলেরা এসে বিক্ষোভ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়নের প্রতিটি পরিবারের মাঝে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক ত্রাণ সমন্বয় কমিটির সাথে সমন্বয় না করে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নামে তালিকা তৈরি করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আজ জেলেদের চাল দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান নিজে ইউনিয়ন পরিষদে না আসায় ভুক্তভোগী হতদরিদ্র পরিবারে বিক্ষোভ করেন এবং চাল কম দেওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।
এদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক জানান, দুপুর একটা থেকে চারটা পর্যন্ত চাল দেওয়া হবে। আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে তা আমার জানা নেই । আওয়ামী লীগের লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ দিকে চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী দুপুর দেড়টায় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যানের কার্যালয় বন্ধ রয়েছে । এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানকে পুনরায় তার মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি আর মোবাইলটি রিসিভ করেনি।
পরবর্তীতে তার বাড়িতেই বক্তব্য নেওয়ার জন্য যাওয়ার পর সাংবাদিক আসার খবর শুনে তিনি ঘরের ভিতরে অবস্থান করে অসুস্থতার কথা বলে দেখা করেনি ও বক্তব্য দেয়নি।