• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০২২

হাজীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক, ধর্ষকের মেয়ে, পুত্রবধূ ও অবৈধ গর্ভপাতকারীসহ ৪জন জেল হাজতে

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজস্ব প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৪ বছরের কিশোরীকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গর্ভপাত ঘটানোর সঙ্গে জড়িত থাকায় একটি প্রাইভেট কিনিকের আয়াসহ তিন নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কীভাবে ধর্ষণ ও গভপাত ঘটানো হয়- এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।

পুলিশ সুপার জানান, বৃদ্ধের এমন জঘন্য এবং অনৈতিক কাজে যারা সহযোগিতা করেছে- তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধ এবং ঘটনার শিকার ১৪ বছরের কিশোরীর ডিএনএ পরীা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কিশোরীটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও আরো তিন নারীকে আসামি করা হয়েছে, যারা কিশোরীটির গর্ভপাত ঘটানোর সঙ্গে জড়িত।

এর আগে ভোরে হাজীগঞ্জের হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন গ্রামের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় সেখানকার একটি বসতঘর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ হাজীগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে ইলামিয়া হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট কিনিকের আয়া নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এই নাজমা অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে বকুল ও ছেলের স্ত্রী সীমার সহায়তা কিশোরীর গর্ভপাত করায়।

তিনি জানান, সোমবার দুপুরে এই হাসপাতালের আয়াকে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে কিশোরীর গর্ভপাত ঘটানো হয়। এসময় ওই কিশোরী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গর্ভপাত ঘটানোর পর ঘটনাটি যেনো প্রকাশ্যে না আসতে পারে এজন্য ৩দিন ওই কিশোরীকে চিকিৎসা না করিয়ে বাসায় আটকে রাখা হয়।

এদিকে, ঘটনার দায় স্বীকার করায় দুপুরে অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনার শিকার কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দরিদ্র বাবা ও মায়ের অনুপস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম কিশোরীকে একা পেয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অভিযুক্ত তার মেয়ে ও ছেলের স্ত্রীকে দিয়ে হাজীগঞ্জের ইসলামিয়া হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট কিনিকের আয়া নাজমা বেগমকে বাসায় ডেকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!