স্নিগ্ধ শীতের সকালে, পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু এক প্রকার নয়, হরেক রকমের পিঠার আয়োজন যদি হয়ে থাকে কোনো স্টলে! হ্যাঁ, এমনই আয়োজন ছিল হাজীগঞ্জ ফোরামের উদ্যোগে পিঠা উৎসবে।
বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টারের ফুড লাভারস পার্টি সেন্টারে এই বর্ণিল পিঠা উৎসবের আয়োজন করে হাজীগঞ্জ ফোরাম নামে একটি সামাজিক সংগঠন। এসময় হরেক রকমের পিঠার সমাগমে পিঠার উৎসবে মেতে উঠেছিল হাজীগঞ্জবাসি।
বৃহস্পতিবার দুপরে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।
এসময় হাজীগঞ্জ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা, হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী, সদস্য সচিব অধ্যাপক এস এম চিশতী, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের চাঁদপুর প্রতিনিধি আলম পলাশ, হাজীগঞ্জ প্রেসকাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম লিটন, পিঠা উৎসব কমিটির আহবায়ক ও হাজীগঞ্জ প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আল আজাদ, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম সিফাত, জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির গুণি শিল্পলী নন্দিতা দাস, আসলাম, মিরাজ মুন্সি প্রমূখ।
গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠাসহ স্টলে স্টলে প্রায় ৪০/৫০ প্রকারের পিঠার সমাবেশ লক্ষ করা যায়। এদের ভিতর উল্লেখযোগ্য চিতই, ভাপা, পুলি, তক্তি, নকশি পিঠা, ডিমের পুডিং, পাটি সাপটা, ঝাল চন্দ্রকোনা, চন্দনকুলি, দুধ খেঁজুর, নারকেলের চিড়া, রসপান, হৃদয়হরন, গোকুল পিঠা, খেুজর রসের পায়েস, সহ হরেক রকমের রসালো পিঠা।
পিঠা উৎসব কমিটির আহবায়ক মহিউদ্দিন আল আজাদ জানান, এ উৎসবে আমাদের ল্য পাশ্চাত্য আকাশ সংস্কৃতি থেকে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে সবার মাঝে বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করার একটি প্রবণতা গড়ে তোলা। এ সংস্কৃতির ধারক, বাহক ও রার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই রঙ বে-রঙ্গের পিঠা তৈরিতে নিয়োজিত যেসব নারী উদ্যোক্তাগণ এই পিঠা উৎসবে যোগ দিয়েছে তাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।