সম্প্রতি সময়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভার পানির মাসিক বিল বাড়িয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের জবাব দিয়েছে হাজীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
আজ রবিবার সকালে পৌরসভার বাগান বাড়ীতে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে পৌরসভার সহ. প্রকৌশলী পানি ও পয়নিস্কাষণ মো. মাহবুবুর রশিদ সংবাদকর্মীদের জানান, হাজীগঞ্জ পৌরসভার পানির বিল বৃদ্ধি করা হয়নি, একক ও একাধিক পরিবারের মধ্যে বিলে সমন্বয় করা হয়েছে মাত্র। তিনি যোগ করেন একটি পরিবার একটি পানির কল ব্যবহার করে যে বিল দেয়, একটি ভবনের ১৫ থেকে ১৮টি পরিবার একটি পানির কল ব্যবহার করে একই পানির বিল দিচ্ছে। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ পানির বিলের মধ্যে সমন্বয় করেছে।
চাঁদপুর পৌরসভা এখন থেকে ৯ বছর পূর্বে একক পরিবার প্রথায় পানির বিল চালু করেছে, আর হাজীগঞ্জ পৌরসভা চালু করেছে তা ২০২২ সালে।
তিনি বলেন, চৌমুহনী পৌরসভায় প্রতি পরিবারের পানির বিল দিচ্ছে ২৫০ টাকা, একই ভাবে লক্ষীপুর পৌরসভায় দিচ্ছে ৩৮০ টাকা, চাঁদপুর পৌরসভায় দিচ্ছে ১’শ টাকা, হাজীগঞ্জও পৌরসভায় এখন থেকে প্রতি পরিবার ১’শ টাকা করে পানির বিল পরিশোধ করবে।
তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান পানি লাইন ১’শ কিলোমিটার যার গ্রাহক সংখ্যা ২ হাজার ৬’শটি। প্রতি মাসের পানির বিল বাবদ বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় ৭ লক্ষ টাকারও বেশী এ ছাড়াও অন্যান্য খরচ হচ্ছে আরো ৫ লক্ষা টাকা, ২০১৫ সালে পানির লাইন ছিল মাত্র ৪০ কিলোমিটার, পানি বাবাদ বিদ্যুৎ বিল দিতে হতো ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭শটি। অন্যান্য খরচ ছিল ৩ লক্ষ টাকা।
তিনি বলেন, বর্তমান মেয়র আ. স. ম. মাহবুব আলম লিপনের সময়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভায় ২৫ কোটি টাকার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হয়েছে। ডাকাতিয়া নদী থেকে ইনটেকের মাধ্যমে ৮৫০ মিটার ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। সবাই বর্তমান মেয়রের অবদান।
মতবিনিময়সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার নির্বাহী প্রেকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র মো. জাহিদুল আযহার আলম বেপারী, মাইনউদ্দিন, আলাউদ্দিন, মহসিন ফারুক বাদল, সুমন তপদার, মো. শাহআলম, হাজী মো. কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, সাদেকুজ্জমান প্রমূখ।