হাজীগঞ্জের মেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে সিলেটে স্বামীর বাড়ীতে অনশন

  • আপডেট: ১০:০৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • ২৯

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেটে স্ত্রীর দাবিতে কথিত স্বামীর বাড়ির সামনে দুই দিন ধরে অনশন করেছেন এক তরুণী। রেহেনা আক্তার নামে ওই তরুণীর দাবি সিলেট নগরীর কালিবাড়ির মো. আবু হানিফের ছেলে মিছবাহুজ্জামান রুহিন তাকে বিয়ে করে ৭ মাস সংসার করেছেন। এখন স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলছেন না । তার সাথে প্রতারণা করে রুহিন তাকে ছেড়ে বাড়ীতে এসে লুকিয়েছে।

শনিবার দুপুরে কালিবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে রেহানা আক্তার বিভিন্ন দাবি সম্বলিত কাগজ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ‘স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে মরে যাব’, ‘রুহিন তুমি ঘরে নাও, স্ত্রীর সম্মান দাও’, স্ত্রীর অধিকার আদায়ে আমরন অনশন’, ‘রুহিনের ঘরে যাবো, নইলে বিষ খাবো’-এমন দাবি লেখা কাগজ প্রদর্শন করছেন তিনি। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন এলাকার লোকজনও।

রেহানা আক্তার জানান, তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার শিদলা গ্রামে। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় রুহিনের সাথে। এরপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এই সম্পর্ক চলে আসছে। ৭ মাস আগে তারা কোর্ট ম্যারেজ করেন।

এরপর রুহিন নারায়াণগঞ্জে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে রাখে। রুহিন ওই বাসায় গিয়ে থাকতেন। ৭ মাস সংসার করার পর হঠাৎ করে রুহিন তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানান।

এরপর তিনি সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিচার চেয়ে ঘুরেছেন। রুহিনের পরিবারের পক্ষ থেকেও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা কথা রাখেননি। একপর্যায়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।

রেহানা জানান, স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শুক্রবার থেকে তিনি অনশন করছেন। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে ঘরে না তুললে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেবেন বলেও হুমকি দেন রেহানা।

এ ব্যাপারে জানতে মোবাইল ফোনে রুহিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান জানান, ‘ওই মহিলা আমাদের কাছে এসেছিলেন বিচার চাইতে। আমরা বলেছি-কাবিননামা বা উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে আসতে। এরপর তিনি চলে যান। আর আসেননি।’

মামলার ব্যাপারে জালালাবাদ থানার সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার শফিকুর রহমান জানান, আদালতে মামলা দায়েরের পর পিবিআই থেকে রুহিনের বাড়ি-ঘরের ঠিকানা ও তার স্বভাব-চরিত্রের বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরে আমি তদন্ত করে এ বিষয়ে পিবিআই’র কাছে রিপোর্ট প্রদান করেছি।’

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে-সেহলী পারভীন

হাজীগঞ্জের মেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে সিলেটে স্বামীর বাড়ীতে অনশন

আপডেট: ১০:০৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেটে স্ত্রীর দাবিতে কথিত স্বামীর বাড়ির সামনে দুই দিন ধরে অনশন করেছেন এক তরুণী। রেহেনা আক্তার নামে ওই তরুণীর দাবি সিলেট নগরীর কালিবাড়ির মো. আবু হানিফের ছেলে মিছবাহুজ্জামান রুহিন তাকে বিয়ে করে ৭ মাস সংসার করেছেন। এখন স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলছেন না । তার সাথে প্রতারণা করে রুহিন তাকে ছেড়ে বাড়ীতে এসে লুকিয়েছে।

শনিবার দুপুরে কালিবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে রেহানা আক্তার বিভিন্ন দাবি সম্বলিত কাগজ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ‘স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে মরে যাব’, ‘রুহিন তুমি ঘরে নাও, স্ত্রীর সম্মান দাও’, স্ত্রীর অধিকার আদায়ে আমরন অনশন’, ‘রুহিনের ঘরে যাবো, নইলে বিষ খাবো’-এমন দাবি লেখা কাগজ প্রদর্শন করছেন তিনি। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন এলাকার লোকজনও।

রেহানা আক্তার জানান, তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার শিদলা গ্রামে। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় রুহিনের সাথে। এরপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এই সম্পর্ক চলে আসছে। ৭ মাস আগে তারা কোর্ট ম্যারেজ করেন।

এরপর রুহিন নারায়াণগঞ্জে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে রাখে। রুহিন ওই বাসায় গিয়ে থাকতেন। ৭ মাস সংসার করার পর হঠাৎ করে রুহিন তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানান।

এরপর তিনি সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিচার চেয়ে ঘুরেছেন। রুহিনের পরিবারের পক্ষ থেকেও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা কথা রাখেননি। একপর্যায়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।

রেহানা জানান, স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শুক্রবার থেকে তিনি অনশন করছেন। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে ঘরে না তুললে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেবেন বলেও হুমকি দেন রেহানা।

এ ব্যাপারে জানতে মোবাইল ফোনে রুহিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান জানান, ‘ওই মহিলা আমাদের কাছে এসেছিলেন বিচার চাইতে। আমরা বলেছি-কাবিননামা বা উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে আসতে। এরপর তিনি চলে যান। আর আসেননি।’

মামলার ব্যাপারে জালালাবাদ থানার সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার শফিকুর রহমান জানান, আদালতে মামলা দায়েরের পর পিবিআই থেকে রুহিনের বাড়ি-ঘরের ঠিকানা ও তার স্বভাব-চরিত্রের বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরে আমি তদন্ত করে এ বিষয়ে পিবিআই’র কাছে রিপোর্ট প্রদান করেছি।’