হাজীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ

  • আপডেট: ০৭:২১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • ২৮

নিজস্ব প্রতিনিধি:

হাজীগঞ্জে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকালে (৫ নভেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন (৩৩) উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান এদিন সকাল ১১টায় রামচন্দ্রপুর বাজারে প্রকাশ্যে এবং জনসম্মুখে মারধর ও লাঞ্চিত করেছেন বলে জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষক। তিনি ওই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ভুঁইয়া একাডেমির (উচ্চ বিদ্যালয়) সহকারী শিক্ষক এবং নাটেহরা গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ফারুক হোসেন জানান, ২০১৯ সালের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি নির্বাচনে যুবদল নেতা বর্তমান ইউপি সদস্য জহির মোল্লার পক্ষে নির্বাচন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী। অথচ তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অপর দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহানের নির্বাচনে প্রধান সমন্বয়ক পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তিনি বলেন, ওই নির্বাচনের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। সেই ঘটনার আলোকে শুক্রবার সকালে রামচন্দ্রপুর বাজারে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা হয়। এসময় তিনি হঠাৎ করে আমার শার্টের কলার ধরে প্রকাশ্যে এবং জনসম্মুখে আমাকে মারধর ও লাঞ্চিত করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এ সময় আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখে তাকে মারধরে সহযোগিতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা এমরান হোসেন খন্দকার। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি দেন। এই ঘটনায় তিনি আইনি সহযোগিতা নিবেন বলে জানান।

এ দিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী বলেন, আওয়ামী লীগের কমিটিতে শিক্ষক ফারুক হোসেনকে পদ না দেওয়ায় সে আওয়ামী লীগ তুলে গালমন্দ করে। তাই নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানালে তার সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। এখানে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফারুক যুবলীগের সাথে জড়িত। এজন্য তাকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে রাখা হয়নি। যেহেতু আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাই সে আমার এবং দলীয় নেতাকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ করে। এছাড়াও নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালায়।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে-সেহলী পারভীন

হাজীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ

আপডেট: ০৭:২১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

হাজীগঞ্জে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকালে (৫ নভেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন (৩৩) উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান এদিন সকাল ১১টায় রামচন্দ্রপুর বাজারে প্রকাশ্যে এবং জনসম্মুখে মারধর ও লাঞ্চিত করেছেন বলে জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষক। তিনি ওই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ভুঁইয়া একাডেমির (উচ্চ বিদ্যালয়) সহকারী শিক্ষক এবং নাটেহরা গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ফারুক হোসেন জানান, ২০১৯ সালের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি নির্বাচনে যুবদল নেতা বর্তমান ইউপি সদস্য জহির মোল্লার পক্ষে নির্বাচন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী। অথচ তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অপর দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহানের নির্বাচনে প্রধান সমন্বয়ক পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তিনি বলেন, ওই নির্বাচনের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। সেই ঘটনার আলোকে শুক্রবার সকালে রামচন্দ্রপুর বাজারে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা হয়। এসময় তিনি হঠাৎ করে আমার শার্টের কলার ধরে প্রকাশ্যে এবং জনসম্মুখে আমাকে মারধর ও লাঞ্চিত করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এ সময় আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখে তাকে মারধরে সহযোগিতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা এমরান হোসেন খন্দকার। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি দেন। এই ঘটনায় তিনি আইনি সহযোগিতা নিবেন বলে জানান।

এ দিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী বলেন, আওয়ামী লীগের কমিটিতে শিক্ষক ফারুক হোসেনকে পদ না দেওয়ায় সে আওয়ামী লীগ তুলে গালমন্দ করে। তাই নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানালে তার সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। এখানে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফারুক যুবলীগের সাথে জড়িত। এজন্য তাকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে রাখা হয়নি। যেহেতু আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাই সে আমার এবং দলীয় নেতাকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ করে। এছাড়াও নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালায়।