হাজীগঞ্জের শত বছরের সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি অটুট থাকবে: বিভাগীয় কমিশনার

  • আপডেট: ০৬:১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১
  • ৩৫

হাজীগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থ মন্দিরের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের সাথে কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান (এনডিসি)।

মোহাম্মদ উল্যাহ বুলবুল॥

চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় চেয়েছেন অসম্প্রায়ীক চেতনার বাংলাদেশ। সেই অসম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির নষ্ট করতে যারা আঘাত করেছে, তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা।

গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় কোরআন অবমাননায় রাতে হাজীগঞ্জে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সনাতন ধর্মীলম্বীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, আমাদের সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি আবহমান কাল থেকেই এক ও অভিন্ন। এটি শত বছরের প্রাচীণ। এক দিনে এটি নষ্ট হবার নয়। যে ঘটনা ঘটেছে এজন্য আমরা সত্যই দূঃখিত।

তিনি বলে, আমার কথা একটাই এ অসম্প্রদায়ীক চেতনার বাংলাদেশে যারা সাম্প্রদায়ীক বীজ রোপন করবো তাদেরকে আমরা ছাড় দেবোনা।

তিনি বলে, একটি গোষ্ঠি আমাদের সাম্প্রদায়ীকতা বিনষ্ট করতে এবং বর্হিবিশে^ আমাদের ভাবমূর্তি খুন্ন করতে কাজ করছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

তিনি বলেন, আপনাদের যে সংসদ সদস্য রয়েছে। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম তিনি খুবই ভালো মানুষ। আপনার তাঁর প্রশংস করেছেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত পূর্বক দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে। কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবেনা।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।

এর আগে বিভাগীয় কমিশনারকে ১৩ অক্টোবরের দিনে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবিব অরুন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহম্মদ খসরু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আলহাজ¦ জসিম উদ্দিন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহআলম, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক স্বপন পাল, শ্রী শ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ন জিউর আখড়ার সভাপতি দিলীপ কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সত্য ব্রত ভদ্র মিঠুন, লিটন পালসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল ভুইয়া, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলী পারভিন মিলি, পৌর প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম, কাউন্সিলর নুরনবী সুমন তপাদার।

এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকারা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে-সেহলী পারভীন

হাজীগঞ্জের শত বছরের সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি অটুট থাকবে: বিভাগীয় কমিশনার

আপডেট: ০৬:১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১

মোহাম্মদ উল্যাহ বুলবুল॥

চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় চেয়েছেন অসম্প্রায়ীক চেতনার বাংলাদেশ। সেই অসম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির নষ্ট করতে যারা আঘাত করেছে, তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা।

গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় কোরআন অবমাননায় রাতে হাজীগঞ্জে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সনাতন ধর্মীলম্বীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, আমাদের সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি আবহমান কাল থেকেই এক ও অভিন্ন। এটি শত বছরের প্রাচীণ। এক দিনে এটি নষ্ট হবার নয়। যে ঘটনা ঘটেছে এজন্য আমরা সত্যই দূঃখিত।

তিনি বলে, আমার কথা একটাই এ অসম্প্রদায়ীক চেতনার বাংলাদেশে যারা সাম্প্রদায়ীক বীজ রোপন করবো তাদেরকে আমরা ছাড় দেবোনা।

তিনি বলে, একটি গোষ্ঠি আমাদের সাম্প্রদায়ীকতা বিনষ্ট করতে এবং বর্হিবিশে^ আমাদের ভাবমূর্তি খুন্ন করতে কাজ করছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

তিনি বলেন, আপনাদের যে সংসদ সদস্য রয়েছে। মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম তিনি খুবই ভালো মানুষ। আপনার তাঁর প্রশংস করেছেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত পূর্বক দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে। কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবেনা।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।

এর আগে বিভাগীয় কমিশনারকে ১৩ অক্টোবরের দিনে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবিব অরুন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহম্মদ খসরু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আলহাজ¦ জসিম উদ্দিন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহআলম, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক স্বপন পাল, শ্রী শ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ন জিউর আখড়ার সভাপতি দিলীপ কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সত্য ব্রত ভদ্র মিঠুন, লিটন পালসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল ভুইয়া, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলী পারভিন মিলি, পৌর প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম, কাউন্সিলর নুরনবী সুমন তপাদার।

এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকারা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।