অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাজীগঞ্জে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী

  • আপডেট: ০৬:০০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
  • ২৫

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সম্মুখে কঠোর অবস্থানে বিজিবি।

নিজস্ব প্রতিনিধি:

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জুমার নামাজের জামায়ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে সকাল পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও কোন ভীড় ল্য করা যায়নি। সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে দেখো গেছে।

কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে গত ১৩ অক্টোবর বুধবার হাজীগঞ্জ বাজারে রাত ৮টায় মিছিল বের করে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এসময় হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার লক্ষী নারায়ন জিউড় আখড়া মন্দিরে ত্রি-নয়নী পূজা মন্ডপে বিক্ষুদ্ধ জনতা হামলার করতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১ কিশোরসহ ৪ মৃত্যু বরণ করে। এ ঘটনার পর থেকে হাজীগঞ্জ বাজারে থম থমে অবস্থা বিরাজ করে।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিব বড় মসজিদের সম্মুখে কঠোর অবস্থানে র‌্যাব।

পরবর্তীতে সংঘাত এড়াতে হাজীঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।

জুমার নামাজের পূর্বে ২জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ এর আশে-পাশে, পশ্চিম বাজার শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়া, দি স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ মন্দিরে সামনে ২ প্লাটুন বিজিবি, ১ প্লাটুন র‌্যাব, বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সাদা পোশাকে অবস্থান নেন।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিব বড় মসজিদের সম্মুখে কঠোর অবস্থানে পুলিশ।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হাজীগঞ্জে ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে।

নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ ঘটনাস্থলে তীক্ষè নজর ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিব বড় মসজিদের সম্মুখে কঠোর অবস্থানে র‌্যাব ও পুলিশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবীব অরুন, হাজীগঞ্জ পৌর প্যানেল মেয়র আজহারুল ইসলাম আলম বেপারী, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন তপদার, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহ আলম, হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম-আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক ও হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, পৌর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোহেল আলম বেপারীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে-সেহলী পারভীন

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাজীগঞ্জে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী

আপডেট: ০৬:০০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জুমার নামাজের জামায়ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে সকাল পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও কোন ভীড় ল্য করা যায়নি। সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে দেখো গেছে।

কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে গত ১৩ অক্টোবর বুধবার হাজীগঞ্জ বাজারে রাত ৮টায় মিছিল বের করে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এসময় হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার লক্ষী নারায়ন জিউড় আখড়া মন্দিরে ত্রি-নয়নী পূজা মন্ডপে বিক্ষুদ্ধ জনতা হামলার করতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১ কিশোরসহ ৪ মৃত্যু বরণ করে। এ ঘটনার পর থেকে হাজীগঞ্জ বাজারে থম থমে অবস্থা বিরাজ করে।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিব বড় মসজিদের সম্মুখে কঠোর অবস্থানে র‌্যাব।

পরবর্তীতে সংঘাত এড়াতে হাজীঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।

জুমার নামাজের পূর্বে ২জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ এর আশে-পাশে, পশ্চিম বাজার শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়া, দি স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ মন্দিরে সামনে ২ প্লাটুন বিজিবি, ১ প্লাটুন র‌্যাব, বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সাদা পোশাকে অবস্থান নেন।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিব বড় মসজিদের সম্মুখে কঠোর অবস্থানে পুলিশ।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হাজীগঞ্জে ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে।

নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ ঘটনাস্থলে তীক্ষè নজর ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ।

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিব বড় মসজিদের সম্মুখে কঠোর অবস্থানে র‌্যাব ও পুলিশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবীব অরুন, হাজীগঞ্জ পৌর প্যানেল মেয়র আজহারুল ইসলাম আলম বেপারী, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন তপদার, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহ আলম, হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম-আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক ও হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, পৌর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোহেল আলম বেপারীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।