মো. জহির হোসেন॥
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানায় হামলা ও পুলিশের আহতের ঘটনায় পুলিশ ২টি মামলা দায়ের করে এ ছাড়াও রাজারগাঁও ইউনিয়নের মুকন্দসার গ্রামে হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল মাহমুদ টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলায় মোট ১২টি পূজামণ্ডপ ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও মন্দির ভাঙার দায়ে মন্দির কর্তৃপে একটি মামলা করেছে। এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জনতা-পুলিশের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামীদের সনাক্ত করা হচ্ছে। অন্যায়ভাবে কাউকে আটক করা হবেনা।
অন্যদিকে বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আল আমিন, শামীম ও হৃদয়ের দাফন হাজীগঞ্জের নিজ নিজ গ্রামের সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্মাণ শ্রমিক বাবলুর মৃত্যুদেহ গ্রামের বাড়ী চাপাইনবাবগ জেলার সুন্দরগঞ্জ ভাগডাঙ্গায় নেয়া হয়েছে।