চাঁদপুরে পুলিশের ২২ সদস্য করোনা আক্রান্ত, সুস্থ ১২

  • আপডেট: ০৮:০০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • ৩০

হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম মোটরসাইকেল নিয়ে করোনা সংক্রমিত রোধে মাঠে সক্রীয়।

নিজস্ব প্রতিনিধি:

চাঁদপুর জেলা পুলিশের ২২ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের করোনা ভাইরাস ১০ জুন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা করোনা আক্রান্ত হন। এর মধ্যে রয়েছেন হাইমচর থানার ওসি, ৯ জন এসআই, একজন এএসআই ও কনস্টেবল। আজ বুধবারও শাহরাস্তি থানার এক এসআই ও এক নারী কনেস্টবল করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন সদর থানায় ৮ জন, হাইমচর থানার ৪ জন, কচুয়া থানার ২ জন, শাহরাস্তি থানার ২ জন, সদরের একজন ট্রাফিক পুলিশ, পুলিশ লাইনসের ৪ জন, জেলা পুলিশ হতে নৌপুলিশে প্রেষণে কর্মরত একজন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০ জন পুলিশ সদস্য।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা প্রথম থেকেই ব্যারাকগুলো ভাগ করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সদস্যদের ৩ ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা করে ফেলেছিলাম। এছাড়া আমরা হোটেল ভাড়া করেছিলাম। আগে যেখানে তিনজন থাকতো সেখানে এখন একজন থাকছেন। যে কারণে আমরা কিছুটা রক্ষা পেয়েছি। এরপরও যখন পুলিশ সদস্যরা ডিউটি করতে বাইরে যান, রোগী সংস্পর্শে যান, জানাজায় যান- তখন ঝুকি বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জন ভালো হয়ে গেছেন। আরও নতুন আরও কয়েকজন যোগ হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের আলাদা রেখে সঠিক ট্রিটমেন্ট দেয়ার জন্য।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে-সেহলী পারভীন

চাঁদপুরে পুলিশের ২২ সদস্য করোনা আক্রান্ত, সুস্থ ১২

আপডেট: ০৮:০০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি:

চাঁদপুর জেলা পুলিশের ২২ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের করোনা ভাইরাস ১০ জুন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা করোনা আক্রান্ত হন। এর মধ্যে রয়েছেন হাইমচর থানার ওসি, ৯ জন এসআই, একজন এএসআই ও কনস্টেবল। আজ বুধবারও শাহরাস্তি থানার এক এসআই ও এক নারী কনেস্টবল করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন সদর থানায় ৮ জন, হাইমচর থানার ৪ জন, কচুয়া থানার ২ জন, শাহরাস্তি থানার ২ জন, সদরের একজন ট্রাফিক পুলিশ, পুলিশ লাইনসের ৪ জন, জেলা পুলিশ হতে নৌপুলিশে প্রেষণে কর্মরত একজন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ জন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০ জন পুলিশ সদস্য।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা প্রথম থেকেই ব্যারাকগুলো ভাগ করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সদস্যদের ৩ ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা করে ফেলেছিলাম। এছাড়া আমরা হোটেল ভাড়া করেছিলাম। আগে যেখানে তিনজন থাকতো সেখানে এখন একজন থাকছেন। যে কারণে আমরা কিছুটা রক্ষা পেয়েছি। এরপরও যখন পুলিশ সদস্যরা ডিউটি করতে বাইরে যান, রোগী সংস্পর্শে যান, জানাজায় যান- তখন ঝুকি বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জন ভালো হয়ে গেছেন। আরও নতুন আরও কয়েকজন যোগ হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের আলাদা রেখে সঠিক ট্রিটমেন্ট দেয়ার জন্য।