মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে আজ বৃহস্পতিবার থেকে জোহরের নামাজের জামায়াত শুরু করেছে। ধর্মমন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জোহরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তবে মুসল্লি সংখ্যা ছিল কিছুটা কম।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে যোহরের নামাজের জামাযাতে ৩০ থেকে ৪০ কাতারে ১ থেকে দেড় হাজার মুসল্লী অংশ নিয়েছে।
জামায়াত শেষে বেশ ক জন মুসল্ললির সাথে কথা হলে তারা বলেন, অনেক দিন পর মসজিদে নামাজের সুযোগ পেয়ে ভালোই লাহলো। বেশি ভালো লেগেছে এ করোনা আতংকের মাঝে সামাজিক দুরত্ব বাজায় রেখেই জামায়াত আদায় করা হয়। মসজিদে প্রবেশ মুখে স্পে ব্যাবস্থাসহ সতর্কীয় সকল ব্যবস্থায় নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়। ক্রমান্বয়ে মসল্লীর সংখ্যা বাড়বে।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের মোতাওল্লী অধ্যক্ষে ড. আলমগীর কবির পাটোযারী বলেন, আমাদের মসজিদে যেহেতু বড় জামায়াত হয় সে খানে সতর্কটাও বেশি থাকতে হয়। আগে সরকারী বিধি মনেই জামায়াত চলছিল। আজও সেভাবেই হয়েছে। নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে জামায়াত হয়েছে। আজ প্রথম জামায়াতে এক থেকে দেড় হাজার শ মুসল্লি অংশ নিয়েছে। এক্ষেত্রে আমরাও সীমাবদ্ধতা বজায় রেখেছি। সব গেইট খুলিনি।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের ভারপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লি প্রিন্স শাকিল আহমেদ জানান, মসজিদ নামাজের জন্য উম্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি এখনো সবাই জানেনা। তাই মুসল্লি সংখ্যা কিছুটা কম। তবে আগামীকাল শুক্রবার। আমাদের হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ৫০ সহাস্রাধীক লোক জুময়ার নামাজ পড়তে আগমণ ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো জানান, আমরা মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধার্থে অজুখানায় সাবানের বিশেষ ব্যবস্থা করেছি। পাশা-পাশি স্বাস্থ্য সচেতনতায় মসজিদের প্রবেশ দ্বারে জীবানু নাশক ছিটিয়ে প্রত্যে মুসল্লি মসজিদে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে প্রত্যেক দিন ফজর নামাজ শেষে ডেটল পানি দিয়ে পরিস্কার করা হয় আবার আছরের নামাজের পর ডেটল পানি দিয়ে পরিস্কার করা হয়। ৫ ওয়াক্ত জামায়াতের পূর্বে মসজিদ ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করা হয়।
বুধবার ধর্মমন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এক জরুরি নোটিশে জানানো হয়েছে। এর আগে করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গত ৬ এপ্রিল মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে নামাজ পড়ার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। শুক্রবারের নামাজ মসজিদে না পড়ে বাড়িতে জোহরের নামাজ পড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
অন্যান্য ধর্মের মানুষকেও বাড়িতে ধর্মপালনের নির্দেশ দেয় ধম মন্ত্রণালয়। তবে গত ২৩ এপ্রিল মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করে যে পবিত্র রমজান মাসে মসজিদে ১০ জন মুসল্লি এবং দুজন ইমাম নামাজে অংশ নিতে পারবেন।