• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪ মে, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ৪ মে, ২০২০

ভৈরবে করোনাকে জয় করে বাসায় ফিরলেন বাবা ও ২ মেয়ে

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

ভৈরবে করোনা থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় ফিরলেন বাবা ও দুই মেয়ে। রোববার হাসপাতাল থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়ে সন্ধ্যায় তারা নিজ বাসায় ফিরেছেন।

তারা হলেন ভৈরবের কমলপুর এলাকার কাজী আবুল হোসেন ও তার দুই মেয়ে হালিমা তুজ স্নিগ্ধা এবং নওশিন শার্মিলী নিরা। বাবা ব্যবসায়ী ও দুই মেয়ে কলেজে পড়ে। তারা ভৈরবে আসলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

গত ১৭ এপ্রিল বড় মেয়ে স্নিগ্ধা প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়। পরে তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তারপর পরিবারের আরও ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে বাবা ও ছোট বোনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাদেরকেও একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ১৬ দিন চিকিৎসার পর বাবা ও দুই মেয়ের নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।

বড় মেয়ে হালিমা তুজ স্নিগ্ধা জানান, প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আমি খুব ভয়ে ছিলাম। তারপর আমার বাবা ও ছোটবোন আক্রান্তের খবর পেয়ে আরও চিন্তিত হয়ে পড়ি। তখন হাসপাতালে বসে শুধু আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি।

তিনি বলেন, চিকিৎসায় বুঝতে পারি করোনার কোনো ওষুধ নেই। হাসপাতালে ২/৩ টি নরমাল ট্যাবলেট দিয়েছে যা তিন বেলা সেবন করি। তবে গরম পানি দিয়ে ভাপ নেয়া ও গর্গল করা, লেবুর শরবত পান করা, ফলমূল খাওয়া ও ব্যায়াম করায় আমরা সুস্থ হলাম। নিয়ম-কানুন মেনে চলেছি বলেই আমরা দ্রুত করোনা থেকে মুক্ত হয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা জানান, স্নিগ্ধা ভৈরবের করোনার দ্বিতীয় রোগী ছিল। তারপর তার বাবা-বোন আক্রান্ত হয়। তাদের সুস্থতার খবরে আমি খুশী হলাম। ভৈরবে করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ জন। তার মধ্যে ১৪ জন সুস্থ হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, নিয়ম মেনে চললে করোনাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!