মধ্যবিত্তদের সেবায় নাম পরিচয় গোপন রেখে ঝিনাইদহ পৌর মেয়র এবার হটলাইন মিশন

  • আপডেট: ০৯:২৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০২০
  • ৩৬

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ

শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত মানুষ নয়, সমাজে এমনও মানুষ রয়েছে, পেটে ক্ষিদে, চোখে লজ্জা উপেক্ষা করেও করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কষ্টে প্রহর গুনছে ঘরের কােণে। কারো কাছেই হাত পাততে পারেন না, আত্ম সম্মানের ভয়ে। এমন সব মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের জন্য ঝিনাইদহ পৌরসভার নগর পিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননন্দিত মেয়র আলহাজ্ব সাইদুল করিম মিন্টু চালু করেছেন হটলাইন সেবা ব্যাবস্থা। কোন প্রচার নয়, পাবলিসিটি নয়, নয় ফটোসেশন।

শুধুমাত্র নিজের দ্বায়িত্ব বোধ ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু রাত নেই, দিন নেই নিজের জীবনকে বাজী রেখে ছুটে চলেছেন মানবিক সাহায্য নিয়ে। নিজেই রাতের অন্ধকারে খাবারের প্যাকেট নিয়ে হাজির হচ্ছেন দূর্গত মানুষের বাড়ীর দরজায়। লজ্জা শরমে মুখ চোরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গুলো উপকৃত হচ্ছেন মেয়রের এমন মানবিক সেবায়।

মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, একদিনেই তিনি ১১৭ জন মানুষকে হটলাইন সেবায় খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। নাম পরিচয় গোপন করে তিনি হাত না পাতা মধ্যবিত্ত এসব মানুষকে এ ভাবেই সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই কমপক্ষে ৫/৭ টি এরকম মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের জন্য তিনি এ সেবাটি চালু রেখেছেন।

প্রতিটি পরিবারের হাতে কমপক্ষে ১০ কেজি করে চাল এবং সম্মানজনক ভাবে নগদ অর্থ তুলে দিচ্ছেন তিনি। সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত অর্থায়নে তিনি শত শত করোনার প্রভাবে অসহায় ও দূর্গত মানুষের মাঝে এরকম হটলাইন সেবা প্রদান অব্যহত রেখেছেন। মেয়র বলেন, শুধু পৌরসভার হটলাইন নম্বরেই নয়,ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্কতার ৩৩৩ নম্বরে কল করলেও এধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি এমন মধ্যবিত্ত অসহায় মানুষের তালিকা প্রনয়নের কাজও শুরু করেছেন এবং তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে পাঠানোর ব্যাবস্থা করবেন। যাতে অসহায় এসব মানুষ প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার পেতে পারেন। এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ের মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাব শুরু৷ হওয়ার শুরু থেকেই মেয়র মিন্টু নিজের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার হাজার হাজার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে খাবার, নগদ অর্থ, ডিম শাকসবজি নিজেই বহন করে তুলে দিচ্ছেন এবং এ মানবিক কার্যক্রম তিনি অব্যাহত রেখেছেন।

তাছাড়াও তিনি মানুষকে করোনার সংক্রমণ এড়াতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় ৫৬ টি মাইকের হর্ণ লাগিয়ে দিন-রাত সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছেন। তার এই মানবিক সাহায্যে কিছুটা হলেও উপকৃত হচ্ছে পৌর এলাকার হাজারো মানুষ।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

মধ্যবিত্তদের সেবায় নাম পরিচয় গোপন রেখে ঝিনাইদহ পৌর মেয়র এবার হটলাইন মিশন

আপডেট: ০৯:২৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০২০

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ

শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত মানুষ নয়, সমাজে এমনও মানুষ রয়েছে, পেটে ক্ষিদে, চোখে লজ্জা উপেক্ষা করেও করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কষ্টে প্রহর গুনছে ঘরের কােণে। কারো কাছেই হাত পাততে পারেন না, আত্ম সম্মানের ভয়ে। এমন সব মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের জন্য ঝিনাইদহ পৌরসভার নগর পিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননন্দিত মেয়র আলহাজ্ব সাইদুল করিম মিন্টু চালু করেছেন হটলাইন সেবা ব্যাবস্থা। কোন প্রচার নয়, পাবলিসিটি নয়, নয় ফটোসেশন।

শুধুমাত্র নিজের দ্বায়িত্ব বোধ ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু রাত নেই, দিন নেই নিজের জীবনকে বাজী রেখে ছুটে চলেছেন মানবিক সাহায্য নিয়ে। নিজেই রাতের অন্ধকারে খাবারের প্যাকেট নিয়ে হাজির হচ্ছেন দূর্গত মানুষের বাড়ীর দরজায়। লজ্জা শরমে মুখ চোরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গুলো উপকৃত হচ্ছেন মেয়রের এমন মানবিক সেবায়।

মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, একদিনেই তিনি ১১৭ জন মানুষকে হটলাইন সেবায় খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। নাম পরিচয় গোপন করে তিনি হাত না পাতা মধ্যবিত্ত এসব মানুষকে এ ভাবেই সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই কমপক্ষে ৫/৭ টি এরকম মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের জন্য তিনি এ সেবাটি চালু রেখেছেন।

প্রতিটি পরিবারের হাতে কমপক্ষে ১০ কেজি করে চাল এবং সম্মানজনক ভাবে নগদ অর্থ তুলে দিচ্ছেন তিনি। সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত অর্থায়নে তিনি শত শত করোনার প্রভাবে অসহায় ও দূর্গত মানুষের মাঝে এরকম হটলাইন সেবা প্রদান অব্যহত রেখেছেন। মেয়র বলেন, শুধু পৌরসভার হটলাইন নম্বরেই নয়,ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্কতার ৩৩৩ নম্বরে কল করলেও এধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি এমন মধ্যবিত্ত অসহায় মানুষের তালিকা প্রনয়নের কাজও শুরু করেছেন এবং তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে পাঠানোর ব্যাবস্থা করবেন। যাতে অসহায় এসব মানুষ প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার পেতে পারেন। এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ের মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাব শুরু৷ হওয়ার শুরু থেকেই মেয়র মিন্টু নিজের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার হাজার হাজার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে খাবার, নগদ অর্থ, ডিম শাকসবজি নিজেই বহন করে তুলে দিচ্ছেন এবং এ মানবিক কার্যক্রম তিনি অব্যাহত রেখেছেন।

তাছাড়াও তিনি মানুষকে করোনার সংক্রমণ এড়াতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় ৫৬ টি মাইকের হর্ণ লাগিয়ে দিন-রাত সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছেন। তার এই মানবিক সাহায্যে কিছুটা হলেও উপকৃত হচ্ছে পৌর এলাকার হাজারো মানুষ।