মুন্সীগঞ্জে ৭০ বছরের বৃদ্ধার করোনা জয় করে ফেরলেন ঘরে, অপেক্ষা পুত্রের জন্য

  • আপডেট: ১০:৪৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০
  • ২২

অনলাইন ডেস্ক:

মুন্সীগঞ্জে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা করোনা জয় করে ঘরে ফেরেছেন। করোনা জয় করা এই নারী সিরাজদিখান উপজেলার আবিরপাড়া গ্রামের গীতা রানী পাল (৭০)। তার এক পুত্র ও পুত্র বধুও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারাও ভালোর পথে। বৃদ্ধা অপেক্ষা করছেন কখন তার পুত্র ও পুত্রবধু সুস্থ্য হয়ে ফেরবেন।

মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসই মানুষকে অনেক কিছু জয় করার সুযোগ সৃষ্টি করে। মরণব্যধি করোনাকে জয় করার ঘটনাটি সকলকেই বিশেষভাবে শক্তি যোগাচ্ছে। এটি হতে পারে আকটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’

তিনি আরো জানান, গত ৭ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। ১০ এপ্রিল তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ঢাকায় না নিয়ে তাকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসায় তিনি সুস্থ্য মনে করেন। তারপর তার সোয়াব নিয়ে আবারো পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে থেকে রিপোর্ট নিগেটিভ আসে। এরপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর দ্বিতীয় দফা তার নমুনা সংগ্রহ করে আবারো ঢাকায় পাঠানো হয়।

গতকাল শুক্রবার সে রির্পোট নেগেটিভ আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী এই নারী এখন পুরোপুরি সুস্থ্য এবং করোনা মুক্ত। ৭০ বছর বয়সে গীতা রানী পাল করোনা জয় করতে পেরেছেন এটি একটি আনন্দে খবর।

ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই নারীর একজন পুত্রও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আইসোলেশন আছেন। ইতিমধ্যে তার একটি রিপোর্ট নেগেটিভ এসছে। আরেকটি রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই তাকে করোনা মুক্ত ঘোষনা করা হবে। এছাড়া এই বৃদ্ধার পুত্র বধুও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি ভাল আছেন।

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজ্জামান বলেন, ‘৭০ বছরের ওই নারীর রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও ঠিক এখনই তাকে ছাড়া হচ্ছেনা। আমরা তার পুত্রের দ্বিতীয় রিপোর্টটির জন্য অপেক্ষা করছি। তার দ্বিতীয় রিপোর্টটি নেগেটিভ আসলে মা-ছেলেকে এক সাথে হাসপাতাল থেকে বিদায় দিবো। তবে গত ২২ এপ্রিল তার দ্বিতীয় দফার সোয়াব পাঠালেও এখন রিপোর্ট পাইনি। আমাদের রিপোর্ট পেতে একটু বেশী দেরীর হবার করণে চিকিৎসায় কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। তবে আশা করছি ওই নারীর পুত্রের দ্বিতীয় দফার রিপোর্টও নেগেটিভ আসবে।’

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

মুন্সীগঞ্জে ৭০ বছরের বৃদ্ধার করোনা জয় করে ফেরলেন ঘরে, অপেক্ষা পুত্রের জন্য

আপডেট: ১০:৪৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

মুন্সীগঞ্জে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা করোনা জয় করে ঘরে ফেরেছেন। করোনা জয় করা এই নারী সিরাজদিখান উপজেলার আবিরপাড়া গ্রামের গীতা রানী পাল (৭০)। তার এক পুত্র ও পুত্র বধুও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারাও ভালোর পথে। বৃদ্ধা অপেক্ষা করছেন কখন তার পুত্র ও পুত্রবধু সুস্থ্য হয়ে ফেরবেন।

মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসই মানুষকে অনেক কিছু জয় করার সুযোগ সৃষ্টি করে। মরণব্যধি করোনাকে জয় করার ঘটনাটি সকলকেই বিশেষভাবে শক্তি যোগাচ্ছে। এটি হতে পারে আকটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’

তিনি আরো জানান, গত ৭ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। ১০ এপ্রিল তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ঢাকায় না নিয়ে তাকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসায় তিনি সুস্থ্য মনে করেন। তারপর তার সোয়াব নিয়ে আবারো পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে থেকে রিপোর্ট নিগেটিভ আসে। এরপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর দ্বিতীয় দফা তার নমুনা সংগ্রহ করে আবারো ঢাকায় পাঠানো হয়।

গতকাল শুক্রবার সে রির্পোট নেগেটিভ আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী এই নারী এখন পুরোপুরি সুস্থ্য এবং করোনা মুক্ত। ৭০ বছর বয়সে গীতা রানী পাল করোনা জয় করতে পেরেছেন এটি একটি আনন্দে খবর।

ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই নারীর একজন পুত্রও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আইসোলেশন আছেন। ইতিমধ্যে তার একটি রিপোর্ট নেগেটিভ এসছে। আরেকটি রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই তাকে করোনা মুক্ত ঘোষনা করা হবে। এছাড়া এই বৃদ্ধার পুত্র বধুও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি ভাল আছেন।

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজ্জামান বলেন, ‘৭০ বছরের ওই নারীর রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও ঠিক এখনই তাকে ছাড়া হচ্ছেনা। আমরা তার পুত্রের দ্বিতীয় রিপোর্টটির জন্য অপেক্ষা করছি। তার দ্বিতীয় রিপোর্টটি নেগেটিভ আসলে মা-ছেলেকে এক সাথে হাসপাতাল থেকে বিদায় দিবো। তবে গত ২২ এপ্রিল তার দ্বিতীয় দফার সোয়াব পাঠালেও এখন রিপোর্ট পাইনি। আমাদের রিপোর্ট পেতে একটু বেশী দেরীর হবার করণে চিকিৎসায় কিছুটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। তবে আশা করছি ওই নারীর পুত্রের দ্বিতীয় দফার রিপোর্টও নেগেটিভ আসবে।’