অত্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠাবান ছিলেন ইসমত আরা সাদেক: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট: ০৪:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৪

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও চলতি সংসদের এমপি ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুত গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, মানুষ জন্ম নিলে মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু সত্যিই অত্যন্ত কষ্টের, বেদনার। প্রয়াত সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও দেশপ্রেম ছিল অসামান্য। হঠাৎ করেই এতো তাড়াতাড়ি তিনি এভাবে চলে যাবেন তা কখনো ভাবতেও পারিনি। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সব কাজ করতেন। সত্যিই আমাদের দুর্ভাগ্য, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে আমাদের বর্তমান সংসদের চারজন সংসদ সদস্য মারা গেলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে আজকের বৈঠকে যশোর-৬ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপির মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, এবারের সংসদের দুর্ভাগ্য পরপর চারজন সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, ডা. মোজাম্মেল হক, আবদুল মান্নান এবং সর্বশেষ ইসমাত আরা সাদেক মারা গেলেন। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সরকারি দলের কাজী নাবিল আহমেদ, ওয়াশিকা আয়েশা খান, আকম সারোয়ার জাহান, ও জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান।

আলোচনা শেষে এক মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী, চলতি সংসদের কোনো সদস্য মারা গেলে তার ওপর আনীত শোক প্রস্তাব গ্রহণ শেষে দিনের কার্যসূচি স্থগিত করে সংসদ মূলতবি ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইসমাত আরা সাদেক বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু কখনো রাজনীতিতে খুব সক্রিয় ছিলেন না। তার স্বামী এ এস এইচ কে সাদেক ৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সেই সময় যখন আমরা সরকার গঠন করতে পারলাম না- তখনই তিনি আমার সাথে যোগাযোগ করেন। সেই থেকে দু’জন একসাথে আসতেন, কথা হতো। তিনি বলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সাদেকের মৃত্যুর পর মিসেস সাদেককে যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুরোধ করলাম, তখন প্রথমে তিনি ঘাবড়ে গিয়ে বলেছিলেন, আমি এটা করতে পারবো ? আমি বলেছিলাম- আপনি পারবেন। ওই নির্বাচন করে জিতে আসার পর প্রথমে তাঁকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিলাম। তখন প্রয়াত ইসমাত আরা সাদেক বললেন, আমি তো কখনো এভাবে অফিস চালাইনি, কখনো কিছু করিনি, আমি তো গৃহিনী ছিলাম। আমি কীভাবে করবো? আমি বলেছিলাম, যেহেতু আপনি শিক্ষিত মহিলা, আমি আছি আপনার সঙ্গে, কোনো চিন্তা নেই। যখন যা দরকার হবে আপনি বলবেন, আর আপনি পারবেন এটা আমার বিশ্বাস আছে। এরপর প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সততার সঙ্গে করে গেছেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

জাতীয়তাবাদী (বিএনপির) রিকশা, ভ্যান, অটো চালক দলের চাঁদপুর জেলা কমিটির অনুমোদন

অত্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠাবান ছিলেন ইসমত আরা সাদেক: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৪:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও চলতি সংসদের এমপি ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুত গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, মানুষ জন্ম নিলে মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু সত্যিই অত্যন্ত কষ্টের, বেদনার। প্রয়াত সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও দেশপ্রেম ছিল অসামান্য। হঠাৎ করেই এতো তাড়াতাড়ি তিনি এভাবে চলে যাবেন তা কখনো ভাবতেও পারিনি। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সব কাজ করতেন। সত্যিই আমাদের দুর্ভাগ্য, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে আমাদের বর্তমান সংসদের চারজন সংসদ সদস্য মারা গেলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে আজকের বৈঠকে যশোর-৬ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপির মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, এবারের সংসদের দুর্ভাগ্য পরপর চারজন সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, ডা. মোজাম্মেল হক, আবদুল মান্নান এবং সর্বশেষ ইসমাত আরা সাদেক মারা গেলেন। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সরকারি দলের কাজী নাবিল আহমেদ, ওয়াশিকা আয়েশা খান, আকম সারোয়ার জাহান, ও জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান।

আলোচনা শেষে এক মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী, চলতি সংসদের কোনো সদস্য মারা গেলে তার ওপর আনীত শোক প্রস্তাব গ্রহণ শেষে দিনের কার্যসূচি স্থগিত করে সংসদ মূলতবি ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইসমাত আরা সাদেক বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু কখনো রাজনীতিতে খুব সক্রিয় ছিলেন না। তার স্বামী এ এস এইচ কে সাদেক ৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সেই সময় যখন আমরা সরকার গঠন করতে পারলাম না- তখনই তিনি আমার সাথে যোগাযোগ করেন। সেই থেকে দু’জন একসাথে আসতেন, কথা হতো। তিনি বলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সাদেকের মৃত্যুর পর মিসেস সাদেককে যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুরোধ করলাম, তখন প্রথমে তিনি ঘাবড়ে গিয়ে বলেছিলেন, আমি এটা করতে পারবো ? আমি বলেছিলাম- আপনি পারবেন। ওই নির্বাচন করে জিতে আসার পর প্রথমে তাঁকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিলাম। তখন প্রয়াত ইসমাত আরা সাদেক বললেন, আমি তো কখনো এভাবে অফিস চালাইনি, কখনো কিছু করিনি, আমি তো গৃহিনী ছিলাম। আমি কীভাবে করবো? আমি বলেছিলাম, যেহেতু আপনি শিক্ষিত মহিলা, আমি আছি আপনার সঙ্গে, কোনো চিন্তা নেই। যখন যা দরকার হবে আপনি বলবেন, আর আপনি পারবেন এটা আমার বিশ্বাস আছে। এরপর প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সততার সঙ্গে করে গেছেন।