গাজী মহিনউদ্দিন:
একেই বলে জনপ্রতিনিধি, ভয়াল মহামারিতে থেমে নেই তিনি। কখনো মাইক হাতে, কখনো ঝাড়ু হাতে, কখনো জীবানু নাশক পানি হাতে, কখনো ত্রাণ নিয়ে রাস্তায় তিনি আছেনই।
তিনি এ দূঃসময়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীপেশার মানুষের পাশাপাশি নিম্ন মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বল্প আয়ের চাকরিজীবী ও অল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন।
বর্তমানে সাধারণ পরিবার গুলো কাউকে কিছু বলতে পারছে না। যারা ত্রাণ বিতরণ করছেন, তারা তাদের নিজের গন্ডির মধ্যেই ত্রান দিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে দেখা যায়, যারা ত্রাণ নিচ্ছেন, তাদেরকেই সবাই দিচ্ছেন ত্রাণ। আর সাধারণ পরিবার গুলো না পারছে চাইতে না পারছে কাউকে বলতে।
এমন কিছু সাধারণ পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন। আজ শনিবার ১৮ এপ্রিল সকাল থেকেই পৌর এলাকার ১২ টি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন মেয়র।
মেয়র আ.স.ম মাহবুব উল আলম লিপন বলেন, দরিদ্র এবং নিম্নবিত্তদের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সাহায্য করছে। কিন্তু বিপাকে আছেন করোনার কারণে একেবারে কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে থাকা নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। আর তাদেরই খুজে খুজে একটু তাদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি।
জীবানুমুক্ত সচেতন ও সুশৃঙ্খল চলাফেরাই পারে আমাদেরকে কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত রাখতে। তাই সরকারের সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে রাস্তায় আছেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এমনকি পৌরসভার সকল নাগরিককে সুস্থ রাখতে শতভাগ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
এ ছাড়াও দেখা যায়, সার্বক্ষণিক পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে তিনি এই সেবা দেন। এ সময় পথচারী ও পৌর নাগরিকদের স্যানিটাইজার, সাবান ও কর্মহীণ দিনমজুরদের নগদ অর্থও প্রদান করেন তিনি।
হাজীগঞ্জ বাজারসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদিনই জনসচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।