অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া দিনমজুরের জমজ দুই মেয়ে সাদিয়া আক্তার সুরাইয়া ও নাদিরা ফারজানা সুমাইয়ার পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছেন বাগেরহাট-২ আসনের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সার্কিটে হাউসে এই দুই শিক্ষার্থী ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে এই আশ্বাস দেন ডিসি। এসময়, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাট পৌরসভার হরিণখানা এলাকার রাজমিস্ত্রি দিনমজুর বাবা মহিদুল হাওলাদারের দুই মেয়ে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (গ ইউনিট) বাণিজ্য অনুষদের সুমাইয়ার মেধাক্রম ৮৪৬ এবং সুরাইয়ার মেধাক্রম ১১৬৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ভর্তির শেষ দিন ৩১ অক্টোবর। অথচ অর্থের অভাবে তারা ভর্তি হতে পারছিলেন না।
বাগেরহাট সার্কিটে হাউসে দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। ছবি: নতুনেরকথা
ওই দুই মেয়ের মা শাহিদা বেগম বলেন, অর্থাভাবে টিউশনি করিয়ে পড়াশুনা চালিয়েছে তারা। এরপরও মাধ্যমিকে বাণিজ্য বিভাগে সুরাইয়া ৪. ৮৬, সুমাইয়া ৪.৯১ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে দুই বোনই গোল্ডেন এ প্লাস পায়।
তিনি আরো বলেন, মেয়রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ছিলাম। সবাই যখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। তাই এখন একটু ভারমুক্ত হয়েছি। আমি আমার সন্তানদের উন্নতি কামনা করি।
সাদিয়া আক্তার সুরাইয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পরে এক ধরণের অনিশ্চয়তা কাজ করছিল মনের মধ্যে। আমাদের এমপি, জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রসহ অনেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সকলের কাছে দোয়া চাই। যাতে ভাল লেখাপড়া করে দেশের সেবা করতে পারি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ফেসবুকে বাগেরহাটের দরিদ্র দুই মেধাবী মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না, এই খবর দেখতে পেয়ে আমি তাদের খোঁজ খবর নেই। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানাই। শনিবার দুপুরে মেয়ে দুটির পরিবারকে সার্কিট হাউজে আসতে বলি। স্থানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসন তাদের ভর্তিসহ পড়ালেখার সব দায়িত্ব নিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.