শাহরাস্তিতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে আবাদি জমি, সড়ক ও বাড়ী ঘর

  • আপডেট: ০৪:৫১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৭

শাহরাস্তি ব্যুরোঃ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন হুমকির মুখে আবাদি জমি, সড়ক ও বাড়িঘর। নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে আবাদী জমিতে ড্রেজার বসিয়ে দিয়ে বালি উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগে জানা যায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে আবাদী জমিতে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা ও ড্রেজার মালিকরা। উপজেলার টামটা – উত্তর ও দক্ষিন, রায়শ্রী উত্তর – দক্ষিন, চিতোষী পশ্চিম ও চিতোষী পূর্ব এবং সুচীপাড়া উত্তর ও দক্ষিন ইউনিয়নের আবাদী জমিতে এক শ্রেনী ড্রেজার মালিক ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে। এতে করে কৃষি জমিন ধংসের সম্মূখীন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানায় স্থানীয় এক শ্রেণী প্রভাবশালী কৃষক তার জমিতে ড্রেজার বসাইয়ে বালি বিক্রি করে এলাকার পুকুর ডোবা ও সরকারী খাল ভরাট করে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় প্রশাসন জেনে শুনে ও নিরব ভূমিকা পালন করছে। যেকোন মুহর্তে সংখ্যা লঘুদের বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলাতে প্রায় ১ শতাধিক ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছে। এশাসন নিরব। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বাসিন্দারা ইউনিয়ন সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তার নিকট ড্রেজার সংক্রান্ত অভিযোগ করা হলো কিন্তু কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবীবা মিরার সাথে ড্রেজার সংক্রান্ত আলাপ কালে তিনি জানান কয়েকটি ডেজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সহসায় অবৈধ ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর দিকে ভূমি মন্ত্রনালয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন ও ড্রেজার সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ড্রেজার জব্দ এবং পঞ্চাশ থেকে সর্বঃউর্ধ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করার এখতিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের রয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সরকারের প্রতি দাবী অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করা না হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কৃষি আবাদি জমি ধ্বংসের মুখে পরতে পারে। তাই উল্লেখিত ড্রেজার বন্ধ ও জব্দ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

গুপ্টিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে চলাচলের রাস্তায় ওয়াল নির্মাণ করায় ফরিদগঞ্জ থানা রিসিভার গ্রহণ করে

শাহরাস্তিতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে আবাদি জমি, সড়ক ও বাড়ী ঘর

আপডেট: ০৪:৫১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৯

শাহরাস্তি ব্যুরোঃ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন হুমকির মুখে আবাদি জমি, সড়ক ও বাড়িঘর। নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে আবাদী জমিতে ড্রেজার বসিয়ে দিয়ে বালি উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগে জানা যায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে আবাদী জমিতে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা ও ড্রেজার মালিকরা। উপজেলার টামটা – উত্তর ও দক্ষিন, রায়শ্রী উত্তর – দক্ষিন, চিতোষী পশ্চিম ও চিতোষী পূর্ব এবং সুচীপাড়া উত্তর ও দক্ষিন ইউনিয়নের আবাদী জমিতে এক শ্রেনী ড্রেজার মালিক ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে। এতে করে কৃষি জমিন ধংসের সম্মূখীন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানায় স্থানীয় এক শ্রেণী প্রভাবশালী কৃষক তার জমিতে ড্রেজার বসাইয়ে বালি বিক্রি করে এলাকার পুকুর ডোবা ও সরকারী খাল ভরাট করে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় প্রশাসন জেনে শুনে ও নিরব ভূমিকা পালন করছে। যেকোন মুহর্তে সংখ্যা লঘুদের বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলাতে প্রায় ১ শতাধিক ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছে। এশাসন নিরব। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বাসিন্দারা ইউনিয়ন সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তার নিকট ড্রেজার সংক্রান্ত অভিযোগ করা হলো কিন্তু কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবীবা মিরার সাথে ড্রেজার সংক্রান্ত আলাপ কালে তিনি জানান কয়েকটি ডেজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সহসায় অবৈধ ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর দিকে ভূমি মন্ত্রনালয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন ও ড্রেজার সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ড্রেজার জব্দ এবং পঞ্চাশ থেকে সর্বঃউর্ধ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করার এখতিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের রয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সরকারের প্রতি দাবী অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করা না হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কৃষি আবাদি জমি ধ্বংসের মুখে পরতে পারে। তাই উল্লেখিত ড্রেজার বন্ধ ও জব্দ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।