বিশেষ প্রতিনিধি:
এক সময় রাজনৈতি করে পরিবারের নগদ অর্থ শেষ করে অনেক পরে বুঝতে পারে জীবনে বড় হতে হলে নিজের দেহ শক্তিকে কাজ লাগাতে হবে। গত কয়েক বছর পূর্বে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিয়ে নবাগত উদ্যাক্তা হিসাবে ভাই ভাই মুরগী ফার্ম স্থাপন করেন। প্রথমে নিজে পরে দেখাশুনার জন্য স্থানীয় জনবল নিয়োজিত করেন। সবকিছু ঠিক ঠাক চলে আসছে। কিন্তু মাঝে মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে কিছু মুরগী মরলেও এবার বড় ধরনের দূর্ঘটনার কবলে পড়েন যুবক আলী হোসেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের আহাম্মদপুর ভূঁইয়া বাড়ীর মৃত শামসুল হকের ছেলে তরুন উদ্যাক্তা আলী হোসেনের ভাই ভাই ফার্মে গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ১৫শ ডিম পাড়া লেয়ার মুরগী মারা যায়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই এক ধরনের ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন দিনে প্রায় ১৫ শ লেয়ার মুরগী বস্তাবন্ধী অবস্থায় মাটির নিচে ফুতে রাখা হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয় এ ১৫ শ লেয়ার মুরগীর দাম প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা কিস্তি উঠিয়ে তিন হাজার লেয়ার মুরগীর কার্যক্রম শুরু করে। এসব মুরগী মরার পূর্বে প্রায় টানা তিন মাস ডিম দিয়েছে বলে জানান খামারের কর্মরত শ্রমিকরা।
খামারের কর্মরত আব্দুর রশিদ ও শিরুতা জানান, আমাদের চোখের সামনে এ ধরনের দূর্ঘটনা এবারেই প্রথম। খামারের মালিকসহ আমরা সবগুলো মরা মুরগী বস্তায় ভরে মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখি।
এ বিষয়ে ভাই ভাই মুরগী খামারের মালিক তরুন উদ্যাক্তা আলী হোসেন বলেন, আমি খামারের আকার বড় করে প্রায় তিন হাজার লেয়ার মুরগী উঠিয়েছি। এতে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে যে কারনে আমি হাজীগঞ্জ প্রিজম ও দিশা এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা কিস্তি উঠিয়েছি। টানা তিন দিনের লেয়ার মুরগী ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মরে যাওয়ায় ৮ লক্ষ টাকার উপরে খতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি।
গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মেলিটারী বলেন, বিষয়টি আমি শুনে খুব মর্মাহত হয়েছি। আলী হোসেন আওয়ামীলীগের রাজনৈতিতে অনেক শ্রম ঘাম রয়েছে। দলের ক্ষমতায় নয়, নিজ পায়ে উপরে উঠতে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতিসাধিত হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের নজরে আনতে লিখিত দরখাস্ত দেওয়ার জন্য বলেছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.