নতুনেরকথা ডেস্কঃ
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি অব্যাহত। এরমধ্যে, ভারত ও চীন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে গেল। গতকাল বুধবার বিকেলে লাদাখে ভারতীয় সেনা এবং চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষের সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তা থামানো হয় বলে দাবি করছে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, লাদাখের প্যাঙ্গং লেক ভুবন বিখ্যাত। তার উত্তরের ১৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ তীরবর্তী এলাকার দুই তৃতীয়াংশই চীনের দখলে রয়েছে। ভারতের দখলে রয়েছে এক তৃতীয়াংশ। মাঝে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল তথা ভারত-চীনের মূল সীমারেখা।
বুধবার বিকেলে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা সেখানে টহল দিচ্ছিলো। সেই সময় আপত্তি করে চীনা সেনা। প্রথমে তর্কাতর্কি, তার পর হাতাহাতি বেঁধে যায়। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত আরও সেনা পাঠানো হয় কাছেই ভারতীয় সেনা ছাউনি থেকে। একইভাবে সেখানে সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে দেয় চীনও। এভাবে সংঘাতের পারদ যখন চড়ছে তখন দু’দেশে সেনা কমান্ডাররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তা থামানোর চেষ্টা করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এর মধ্যে এ মাসেই বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে সীমান্ত বিতর্ক নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে। কিন্তু হঠাৎই সে তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে বেজিং।
শুধু তা নয়, প্রতিবেশী এই দু’দেশের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কাশ্মীরও। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর পরই তা নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায় চীন। এ ব্যাপারে তারা তাদের কৌশলগত বন্ধু দেশ পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়িয়েছে। এমনকী জাতিসংঘও কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতের বিরুদ্ধেই মত রেখেছে বেজিং। তাতে উত্তেজনা বেড়েছে বরং কমেনি।
তবে নয়াদিল্লির কূটনীতিকদের মতে, সীমান্ত নিয়ে হোক বা কাশ্মীর প্রসঙ্গে- বেজিংয়ের সঙ্গে দ্রুত কোনও নিষ্পত্তির সম্ভাবনা নেই। তা গত তিরিশ বছর ধরেই চলছে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের এখন অনেকটা পরিসর জুড়ে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। যার বহর ক্রমবর্ধমান। তা কেউই নষ্ট করতে চায় না। মোদি-সি চিন পিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বাণিজ্যই গুরুত্ব পাবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.