• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪ আগস্ট, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ৪ আগস্ট, ২০১৯

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন, ১৫ বসত ঘর মেঘনা গর্ভে বিলীণ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
চাঁদপুর মেঘনা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ২শ’ মিটার ব্লক ধবসে পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন

আরো ভাংনের আশঙ্কায় ঘর সরিয়ে নিচ্ছে স্থানীয়রা

বিশেষ প্রতিনিধি॥
চাঁদপুর মেঘনা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ২শ’ মিটার ব্লক ধবসে পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকার সেমি পাকা ও টিনের ১৫টি বসতঘর ভেঙে নদী গর্ভে বিলিন হয়েগেছে। হুমকির মুখে রয়েছে হরিসভা এলাকার ৪টি মন্দির ও চলাচলের সড়ক। হুমকির মুখে থাকা বহু বসত ঘর ভেঙে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ওই এলাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৩ আগষ্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙন শুরু হয়। রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘটনাস্থলে বালি ভর্তি ৫শ’ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করে। ভাঙনের শিকার পরিবহার গুলো হচ্ছে-হরিসভা এলাকার গুপিনাথ সাহা, আদিনাথ সাহা, সম্ভুনাথ দে, সুশান্ত দে, মানিক সাহা, সঞ্জয় চক্রবর্তী, বিমল দে, দ্বীপক দে, ধ্রুবরাজ সাহা, সুনীল দে, শ্যামল দে, ওয়াদে আলী শেখ, অঞ্জু শেখ, আমজাদ আলী মুন্সি ও কার্তিক সাহা।

চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় জানান, ভাঙন শুরু হওয়ার পরেই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। গত বছরও একই স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি রক্ষায় স্পেশাল বরাদ্দ দেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজটি সম্পন্ন না করায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ভাঙন অব্যাহত থাকলে আরো বসতিসহ হরিসভা, কালি, স্কন ও লোকনাথ মন্দির মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ৫শ’ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ, দমকল বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।

পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানে জনগনের মালামালের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, গত কয়েক ধরে বছরই একই স্থানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। পুরাণ বাজার এলাকার বাকী অংশ ভাল থাকলেও প্রায় ২শ’ মিটার এলাকায় প্রতিবছর সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাৎক্ষনিক জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে ব্লক পেলে স্থায়ী বাঁধ দেয়া হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!