Notuner Kotha

হাজীগঞ্জে ১২০ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে ফেলা হলো

হাজীগঞ্জে ১২০ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মো. রাশেদুল ইসলামের নির্দেশনায় চিংড়িগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। এদিন পৌরসভাধীন ধেররা বাজারস্থ মাছ বাজার থেকে জেলি মিশ্রিত চিংড়ি জব্দ করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে প্রতিনিয়ত ধেররা মাছ বাজারে জেলি মিশ্রিত চিংড়ি বিক্রি করা হয়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই মাছ বাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় ১২০ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি জব্দ এবং তাৎখনিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জব্দকৃত চিংড়িগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

আড়ৎদাররা জানান, প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ধেররা মাছ বাজারে পাইকারি দরে মাছ বিক্রি হয়ে থাকে। জেলি মিশ্রিত এই গলদা চিংড়ি খুলনা থেকে আনা হয়েছে। ক্রেতারা এই চিংড়ি পাইকারি দরে কিনে নিয়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন। অথচ এই চিংড়ি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মৎস্য সংরক্ষণ আইন- ১৯৫০ ও বিধিমালা ১৯৮৫ এর আওতায় অভিযান পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম। অভিযানে ১২০ কেজি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি জব্দ করে কেরোসিন মিশিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

এ দিকে অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাফিয়া আফরিনসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান ও অনুরোধ জানান সচেতন ভোক্তারা।