Notuner Kotha

চাঁদপুরে ডিবি’র অভিযানে ২২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদকবিক্রেতা গ্রেপ্তার

চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র মাদক বিরোধী নিয়মিত অভিযানে ২২ কেজি গাঁজা ও মাদকবহনকারী একটি মাইক্রোবাসসহ ৩ মাদকবিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

বুধবার (৯ আগষ্ট) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর মডেল থানাধীন শাহ মাহমুদপুর ইউপির ঘোষেরহাট এলাকার সীমা পাইপ ইন্ড্রাষ্টিজ এর সামনে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের ওপর থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মহসিন (৩০), মোঃ হাবিবুর রহমান (২৫) ও আরিফুল ইসলাম ওরপে সজল (৩০)। তাদের হেফাজত থেকে ২২ কেজি গাঁজা, একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।

 

পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন এর তত্ত্বাবধানে উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান কায়কোবাদ এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস দল মাদক অভিযান পরিচালনা করেন।

 

ডিবি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক বিক্রেতারা জানায়, তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে গাঁজা সংগ্রহ করে নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। তারা কুমিল্লা জেলার থেকে ২২ কেজি গাঁজা ক্রয় করে মাইক্রোবাস যোগে কুমিল্লা চাঁদপুর হয়ে নারায়নগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথেমধ্যে পুলিশের চেকপোস্টে থামিয়ে তল্লাশি করাকালে তাদের দেখানো মতে গাড়ীর সিটের উপর ১ ও ২নম্বর আসামীর মাঝ খানে রাখা দুইটি কার্টুন, একটি কার্টুনে ১০ কেজি ও অপর কার্টুনে ১২ কেজি গাঁজা সহ সর্বমোট ২২ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। একই সাথে একটি সাদা রংয়ের হাইচ গাড়ী, যাহার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-১৩২৪, ইঞ্জিন নং-১ঞজ-৮৩২৭০৩৪, চেসিস নং-ঞজঐ২০০-০১৩২২৫৫, মূল্য অনুমান ২০লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

 

মাদক বিক্রেতারা আরো জানায়, কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অজ্ঞাতনামা আসামীর নিকট হতে গাঁজা ক্রয় করে নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ এর জনৈক ওমর ফারুক (৩৫) নিকট পৌছে দেয়ার জন্য মাইক্রোবাস যোগে যাচ্ছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা ও সহযোগী পলাতক আসামীদের পরষ্পর যোগসাজশে উক্ত মাদক নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন কারীদের নিকট অবৈধভাবে বিক্রয় করার পরিকল্পনা ছিল।

 

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরেুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ সালের ৩৬ (১) সারণির ১৯ (গ)/৩৮/৪১ ধারায় মামলা রুজুর নিমিত্তে এজাহার দায়ের করেন। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামীর নাম ঠিকানা যাচাই বাছাইসহ সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

 

পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদক বিক্রেতা সে যেই হউক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।