Notuner Kotha

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর

ছবি-নতুনেরকথা।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোন মামলা করা না হলেও হাজীগঞ্জ থানায় মৌখিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন সাখাওয়াত হোসেন।

গত বৃহস্পতিবার এ্যাম্বুলেন্সটি ভাংচুর করা হলেও শনিবার দুপরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় ভাংচুর কৃত এম্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে খোলা আকাশের নিচে কাপড়ের কাভার দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে।

জানাযায়, হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রামের জুট মিল সংলগ্ন হাজী বাড়ীর ফারুকের ছেলে অন্তর (১৭), ও দুলালের ছেলে ফরহাদ (২২) আলীগঞ্জে অটো রিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এসময় রোগীর স্বজনরা দ্রুত একটি প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সে রোগীদের নিয়ে কুমিল্লায় রওনা হন।

এ্যাম্বুলেন্সটি শাহরাস্তি উপজেলায় পৌঁছলে সেই এ্যাম্বুলেন্সের মূলচালক আক্তার হোসেন এ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে রোগীসহ পুনরায় আলীগঞ্জে ফেরত আসে। এতে রোগীর অবস্থা আরো শঙ্কাপূর্ণ দেখে রোগীর স্বজনরা প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার আক্তারকে মারধর করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত কিশোররা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রক্ষিত এ্যাম্বুলেন্সটি ভাংচুর করে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নঈম বলেন, এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুরের বিষয়টি মৌখিকভাবে থানাকে জানানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি প্রকাশ্যে ভাংচুর করা হয়েছে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ থানার ওসি দায়িত্ব নিয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আ. রশিদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করে দেয়ার আশ^াস দিয়েছে হামলাকারীরা। বিষয়টি আসলে ভুল বুঝাবুঝিতে হয়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. গোলাম মওলা নঈম যোদ দেয়ার পর থেকে স্বাস্থ্যখাতে সেবা বেড়েছে পাশা-পাশি বেড়েছে দালাল চক্রের দৌরত্ব মূলত: দালালদের দৌরাত্বের করণেই হাসপাতালে বিভিন্ন অঘটন ঘটনছে। সম্পূর্ণ নতুন একটি নতুন এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করা হয়েছে।