Notuner Kotha

হাজীগঞ্জে ৪৫ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৮জন, নেই জনসচেতনতা

ছবি-নতুনেরকথা।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে চাঁদপুরেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের রোগির সংখ্যা। এমনকি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কচুয়ার একজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পিছিয়ে নেই হাজীগঞ্জ উপজেলাও। অন্যান্য বছরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই/একজন রোগী চিকিৎসা নিলেও গত দেড় মাসে ১৮ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে এখনো ৩জন ভর্তি রয়েছেন।

জানা গেছে, এ বছর বর্ষার শুরুতেই অর্থ্যাৎ গতমাস থেকে প্রায় নিয়মিত ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ এ রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। এর মধ্যে ১৮ জন রোগী হিসাবে চিহিৃত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে ১৫ জন বাড়ি ফিরে গেছেন। এখন থেকে সতর্ক না হলে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন সচেতন ব্যক্তিরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাছেল ও অয়ন নামের দুইজন রোগীর সাথে সংবাদকর্মীদের কথা হলে তারা জানান, জ¦র নিয়ে তারা হাসপাতালে এসেছেন। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাদের ডেঙ্গু রোধ ধরা পড়ে। তারা চিকিৎসকদের নিয়মিত তত্ত্বাবধানে আছেন এবং বর্তমানে তারা কিছুটা সুস্থতাবোধ করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মাওলা নঈম জানান, কারও যদি শরীর ব্যথা এবং জ্বর হয়, তাহলে অবহেলা না করে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসক লক্ষণ দেখেই শনাক্ত করতে পারবেন ডেঙ্গু আক্রান্ত কি না।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

এ দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিস্তাররোধে সব শিা প্রতিষ্ঠান ও অফিসগুলোর ভবন, বাসা-বাড়ি ও আশপাশের খোলা জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাসভবন, খোলা জায়গা, মাঠ, ফুলের টব, পানির পাম্প বা পানি জমে এ রকম পাত্র, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার ট্রে, পানির ট্যাপ, বাথরুম ও কমোড, গ্যারেজ, নির্মাণাধীন ভবন, লিফট ও সিডি, পরিত্যক্ত বস্তুসহ মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থলে যাতে পানি জমতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

হাজীগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মাওলা নঈম জনগণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে কোন প্রকার জনসচেনতার ব্যবস্থা করেননি। বরং হাসপাতালেই দেখা যায় ময়লা আবর্জনায় ভরপুর।