Notuner Kotha

নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদক দাখিল

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ মনির হোসেনকে বেআইনীভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগের আলোকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলী রেজা আশ্রারাফী। বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লার বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে সরজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৪ জানুয়ারি বিদ্যালয় পরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বরাবর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলী রেজা আশরাফী স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদক দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের বিদ্যমান ভোটার তালিকায় প্রতিষ্ঠাতা ক্যাটাগরিতে একমাত্র সদস্য হিসেবে মোঃ মনির হোসেনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বিগত সময়ে মোঃ মনির হোসেন প্রতিষ্ঠান সদস্য হিসেবে আছেন। তিনি কিভাবে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তা জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, গত ৩/৯/১৯৮৭ খ্রিঃ সময়ে দলিল নং-৫৯৮১ মূলে বিদ্যালয়ের নামে জমি দান করে দলিলের ৫নং জমিদাতা হিসেবে তৎকালীন সময় থেকে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রয়েছেন। সরজমিনে তদন্তকালে জানা যায়, উক্ত দলিল নং-৫৯৮১ একখানা ভুয়া দলিল। উক্ত দলিলে বর্ণিত জমিসমূহ বিদ্যালয়ের দখলে নেই এবং উক্ত জমি সমূহের কোনো অস্তিত্ব নেই। আরো উল্লেখ করেছে যে, দলিলের জমিদাতা হিসেবে ৪নং ক্রমিকে আলী আহম্মদ এবং ৬নং ক্রমিকে সিরাজুল ইসলাম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পদ হতে ইন্তফা দিয়েছেন মর্মে উপস্থিত এলাকার জানান। তদন্ত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সার্বিক বিষয়াদি বিবেচনায় দেখা যায় যে, বিগত ০৩/০৯/১৯৮৭ খিঃ তারিখে প্রস্তুতকৃত দলিল নং ৫৯৮১, যার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের নামে ১.৫০ একর জমি দান করা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তা একটি ভুয়া দলিল। তৎকালীন সময়ে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার লক্ষ্যে উক্ত দলিল খানা সৃজন করা হয়েছিল। যেহেতু দলিল নং-৫৯৮১ একটি ভুয়া দলিল সেহেতু উক্ত দলিল মূলে জমিদাতা হিসেবে মোঃ মনির হোসেন প্রকৃত জমিদাতা নয়। এদিকে নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে নিয়ম অনুযায়ী জমি না থাকায় মুঞ্জরি বাতিল হওয়ার পথে। এনিয়ে এলাকায় সকল পর্যায়ে এবং অভিভাবক ও সচেতন মহলে জল্পনা-কল্পনা চলছে।