Notuner Kotha

ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অর্বাচিনদের দৃষ্টি আকর্ষণ

প্রেসবিজ্ঞপ্তিঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ, ফরক্কাবাদ, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর। বর্তমানে কলেজটি অর্বাচিন ও আনাড়ীদের কঠিন ষড়যন্ত্রের শিকার। সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে তারা কোন দিকে নিয়ে যেতে চায়? বর্তমান পরিচালনা পর্ষদসহ ষড়যন্ত্রকারীরা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্নসহ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের এহেন কর্মকান্ড বন্ধে গণপ্রাজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, ডিজি (মাউশি) ও শিক্ষাবোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ অর্বাচিন ও আনাড়ীদের হাত থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা করুন।

আমি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন, প্রভাষক, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ। আমি এবং কলেজের আইসিটি শিক্ষক মোঃ নোমান ছিদ্দিকি গত ৩০ জুলাই ২০২২ প্রেস ব্রিফিং করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সুজিত রায় নন্দীসহ নানা অপরাধে জড়িতদের আংশিক দুর্নীতির প্রমাণসহ তথ্য তুলে ধরি। যা চাঁদপুরের বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর অপরাধ চক্রে জড়িতরা ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দীলিপ চন্দ্র দাসকে পক্ষ বানিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় হাস্যকর তথ্য ও মনগড়া বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক এবং মামলার আলোকে যেসব অভিযোগ আনা হয়, সেসব বিষয়গুলোর জবাব না দিয়ে কল্পিত কথা বার্তা বলেন। যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সর্বমহলে সত্য বলে প্রমাণিত হয়।

তারা আমার ও শিক্ষক মোঃ নোমান ছিদ্দিকের নিয়োগের বিষয়ে যেসব কথা উল্লেখ করেছেন, তার কোন ভিত্তি নেই। তাদের লেখার মধ্যে স্থানের নাম লিখতে গিয়েও ভুল করেছেন ‘ফরকাবাদ’। শূন্য পদকে লিখেছেন শুন্য পদ। এই যদি হয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অবস্থা, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি এখন চলছে কিভাবে! কলেজের অধ্যক্ষ জনাব ড. মোহাম্মদ হাসান খানকে তারা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী বানিয়েছেন। আপনারা জানেন, বে-সরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার সভাপতিই সর্বময় ক্ষমতা রাখেন এবং যে কোন নিয়োগ কমিটির প্রধান সভাপতিই হয়ে থাকেন, অধ্যক্ষ শুধু সাচিবিক কাজ করেন। তাহলে দীর্ঘ বছরের কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সুজিত রায় নন্দী সভাপতি হিসেবে কি দায়িত্ব পালন করেছেন? সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোন শিক্ষক বেতন উত্তোলন করতে পারেন না, নিয়োগ হয় না, সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মচারি হতে অধ্যক্ষ পর্যন্ত কারো এমপিও হয় না। প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টের টাকা যৌথ সাক্ষর ছাড়া উত্তোলন হয় না।

বাহিরের অন্য কোন দেশের অনুদানের টাকায় অবকাঠামগত উন্নয়নের টাকার কোন ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হয় না। এই কলেজের গান্ধি ভবনের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা ভারতীয় হাই কমিশন থেকে পাওয়া যায়। সভাপতি টেন্ডার আহবান ছাড়া গান্ধি ভবনের কাজ করান নিকটাত্মীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মা কনস্ট্রাকশন’ এর মাধ্যমে। এটিও প্রমাণিত হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ হাসান খান শুধুমাত্র গান্ধি ভবনই নয়, কলেজের কোন টাকা পয়সা তছরুপ করেননি। কথা বলতে হবে প্রমাণসহ । তদন্ত করার জন্য দুই পক্ষকে অবগত করে তদন্ত (অডিট) করতে হয়। এক তরফা অডিট প্রশ্নবোধক এবং নিয়ম ও আইন বহির্ভূত। কারণ তিনি এখনো কলেজের অধ্যক্ষ।

আমি ও শিক্ষক মো. নোমান ছিদ্দিকির নিয়োগ প্রক্রিয়া সভাপতির সম্মতি ও নিয়ম কানুনের মধ্যেই হয়েছে। কেউ গায়ের জোরে অনেক কথা বলতে পারেন! কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কাজ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো শতভাগ যাচাই বাছাই এর মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। এখানে অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ হাসান খানকে নিয়োগ কর্তা বানানো নির্বোধের পরিচয়। এমপিও দেন সরকার, কোন ব্যক্তি নয়। আমি ২০১৬ সাল থেকে চাকুরী করে আসছি। আমি সহ কলেজের সকল শিক্ষকের বেতন ভাতা সভাপতির স্বাক্ষরেই হয়েে কিন্তু বর্তমানে কলেজের কিছু অর্বাচিনরা বলতেছে সকল কিছু নাকি অধ্যক্ষ করেছেন! সভাপতিকে কি তারা অথর্ব বানিয়ে রাখতে চান? সভাপতির দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ প্রকাশ পাওয়ার থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। যে কারণে অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ হাসান খান ও আমাদের বিরুদ্ধে এই গভীর ষড়যন্ত্র। আমি প্রেস ব্রিফিং এ সকল ষড়যন্ত্র তুলে ধরেছি। কোন কিছু লুকোচুরি করিনি। আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আইনই প্রমাণ করবে সঠিক না বেঠিক। যারা অপরাধ করেছেন, আমাদের প্রতি অবিচার করেছেন, ষড়যন্ত্র করে কলেজের ক্ষতি করছেন, সাহস থাকলে নিজেদের অপরাধ মিথ্যা প্রমাণিত করেন। দেশের প্রচলিত আইন সবার জন্য। কারো ব্যাক্তির জন্য সরকার আইন করেনি। হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না। আপনার নিজের চেহারা আয়নায় নিজে একবার দেখুন। সকল কিছু স্পষ্টভাবে ফুটে উঠবে। আপনারা শিক্ষক হিসেবে কি ধরণের ভাষা ব্যবহার করছেন, সম্মানিত ব্যাক্তিদের বিষয়ে কি বলছেন, চিন্তা করে দেখুন। করো মদদে প্ররোচিত না হয়ে শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করুন।

কলেজ সভাপতি সুজিত রায় নন্দীর অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম আড়াল করতে বার বার চাঁদপুর-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন, বিষয়গুলো সঠিক না। আপনাদের এহেন কর্মকান্ড সচেতন মহল অবগত আছেন।

আমি প্রেস ব্রিফিং-এ যেসব দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছি, তা আংশিক মাত্র। যারা সভাপতি সুজিত রায় নন্দীর পক্ষ নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের বিষয়ে আরো তথ্য আছে। জনাব রেজাউল করিম মিঠু ও এবিএম শাহআলম কিভাবে কলেজের সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন। সেসব তথ্যও পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করা হবে এবং বিষয়গুলো ডিজি (মাউশি)কে লিখিতভাবে অবহিত করা হবে।

এছাড়াও ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক মজুমদার তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রুহুল আমিন মিয়াজী দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে দুর্নীতির দায়ে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে প্রায় ৩ বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। তাঁর দুই সন্তান আদম ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে প্রতারণা ও লোকজনের অর্থ আত্মসাৎ করার ঘটনায় পিতা হিসেবে আসামী হয়ে একাধিকবার জেল খাটেন। এসব ঘটনাগুলো এখনও সমাধান হয়নি। ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্নে উনার কোন ভূমিকাই ছিল না। এখন তিনি এসে ষড়যন্ত্রে লীপ্ত হয়েছেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরাই এমন তথ্য জানিয়েছেন।
নিবেদক-মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন, প্রভাষক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ, চাঁদপুর, চাঁদপুর।- বিজ্ঞপ্তি।