Notuner Kotha

</h6>মতলব উত্তরে আলী আহম্মদ মিয়া বহুমুখী মহাবিদ্যালয়<h6>শিক্ষকদের যত্নে, ক্লাসে শতভাগ উপস্থিতির কারণেই এইচএসসির ফলাফল সন্তোষজনক

মনিরুল ইসলাম মনির :
শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আন্তরিকতা শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধু সুলভ আচরনে সফলতা অর্জন হয়েছে। পাঠদানের অনুমতি নিয়েই চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ভালো ফল অর্জন করেছে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর আলী আহম্মদ মিয়া বহুমুখী মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বইছে আনন্দের বন্যা।
দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুকরণে শিক্ষকরা পাঠদান, নোট প্রদান’সহ আন্তরিক চেষ্টা ধারাবাহিক ভালো ফলাফলে ভূমিকা রেখেছে। এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় ৯৩.৭৫ ভাগ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।
২০১৫ সালে তৎকালীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম তাঁর পিতার নামে মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন স্থানে ‘আলী আহম্মদ মিয়া বহুমুখী মহাবিদ্যালয়’ চালু করেন। ২০১৭ সালে প্রথমবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালের পরীক্ষায় পরপর ভালো ফলাফল করে এ মহাবিদ্যালয়টি।
অধ্যক্ষ এটিএম ফেরদৌস আহমেদ এর তত্ত্বাবধানে ১৫জন প্রভাষক ও ৫জন কর্মকর্তা-কর্মচারির সমন্বয়ে চলছে এ মহাবিদ্যালয়টি। এখনও এমপিওভুক্তি পায়নি এ মহাবিদ্যালয়।
পরীক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ সাধনা-পরিশ্রমের কাঙ্খিত এই ফলাফল। আমাদের বাবা মা ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় আজকের এই সাফল্য। কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে অনেক খুশি। রুটিন মাফিক পড়াশোনার ফসল আজকের এ রেজাল্ট। আমার শিক্ষক ও অভিভাবকের কাছে তাই বেশ কৃতজ্ঞ।
শিক্ষকরা জানান, ভালো কলেজের পাঠদান অনুসরণ করে আমার শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে পাঠদান দিয়ে থাকি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ভালো ফলাফল করা সম্ভব হয়েছে।
শিক্ষকরা আরো জানান, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতি, শিক্ষকদের নিবিড় পাঠদান ও অভিভাবকদের দায়িত্বশীলতার কারণে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব হয়েছে। সকলের প্রচেষ্টায় আগামীতেও আরো ভালো ফলাফল করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। আগামীতে শতভাগ পাস আশাবাদী।
আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এটিএম ফেরদৌস আহম্মেদ জানান, শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিষ্ঠার সাথে পাঠদান, ছাত্রদের দুর্বলতা চিহ্নিত করে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা, বেশি বেশি মডেল টেস্ট নেয়া, ছাত্রদের নিরলস অধ্যবসায় এবং মহাবিদ্যালয়ের পরিবেশ এই সাফল্যের কারণ। অভিভাবকদের সচেতনতা এবং শিক্ষক অভিভাবকদের সমন্বয়ও সাফল্যের পেছনে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।