Notuner Kotha

মতলব উত্তর উপজেলার সরদারকান্দি রাস্তার বেহাল দশা

মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের উত্তর সরদারকান্দি (বাদামতলী বাজার) থেকে শুরু করে দক্ষিণ সরদারকান্দি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সেই সাথে রাস্তাটি যেন মরন ফাদেঁ পরিনত হয়েছে। এসব পাকা রাস্তায় প্রায় সবটুকু জায়গার কার্পেটিং উঠে গিয়ে হাজারো গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সে সাথে রাস্তা চলাচলে একেবারে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে ওই এলাকার হাজারো মানুষ ও যানবাহন এই পথেই চলাচল করছে। রাস্তায় চলতে গিয়ে হরহামেশা দুর্ঘটনার স্বীকারও হচ্ছেন অনেকে। এলাকাবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মেরামতের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল এর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের আওতাধীন ২০০২ সালে জনগুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটি কার্পেটিং করা হয়। দীর্ঘদিন এ রাস্তাটি পুণ:নির্মাণ না হওয়ায় সম্পূর্নরূপে ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইট-সুড়কি বেরিয়ে পড়েছে। যান চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। সড়কের দু’পাশে মাঝে-মধ্যে ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য সিএনজি, চার্জার অটো, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে মানুষ চলাচল করে। স্কুুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে এ সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাস্তাটিতে চলতে গিয়ে পথচারিদের যেমন সময়ের অপচয় হচ্ছে ঠিক তেমনি রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। সরকারি ভাবে মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা, রাস্তাটিতে যেন নজর পড়ছেনা কারোরই।
এ ব্যাপারে সিএনজি চালক খোকন মোল্লা বলেন, আমাদের এই রাস্তা দিয়ে গাড়ী চালিয়ে টাকা রোজগার করতে খুব কষ্ট হয়। তারপরেও যা রোজাগার করি তাঁর বেশির অংশই চলে যায় ভাঙ্গা রাস্তার জন্য গাড়ী মেরামতেই। অন্যদিকে কলেজপড়–য়া ছাত্রী সোনিয়া বলেন, রাস্তার এই বেহাল দশার জন্য আমাদের কলেজে যেতে অনেক ভুগান্তির শিকার হতে হয়। যাতায়াতের জন্য গাড়ী পাওয়া যায় না। অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নিতে বিপাকে পরতে হয় আমাদের। এই সড়কটাকে সংস্কারন করে যাতায়াতের সুুব্যবস্থা নিশ্চিত করাই এলাকাবাসীর একমাত্র দাবী।