Notuner Kotha

বৃদ্ধ ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন শতবর্ষী মা

৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন শতবর্ষী মা। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালে ভিড় জমে যায়। মায়ের অফুরান ভালোবাসার দৃষ্টান্ত একনজর দেখতে হাসপাতালে ভিড় করেন অনেকেই।

প্রতিদিনের মতো বুধবারও (১০ মে) কয়েকশ রোগী চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে। তাদের মধ্যে শতবর্ষী নারীর সঙ্গে ছিলেন বয়স্ক একজন পুরুষও।

এদিন দুপুর পৌনে দুইটায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকসেদুল মোমিনের নজরে পড়ে বিষয়টি।

বয়স্ক বিবেচনায় সবার আগে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাকেন। দুজনের মধ্যে কে রোগী জানতে চাইলে শতবর্ষী বৃদ্ধা তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে দেখিয়ে দেন। তখন চিকিৎসক তাদের মধ্যকার সম্পর্কের কথা জানতে চাননি।

ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চলে যাওয়ার সময় ওই নারী তার সঙ্গে আসা বৃদ্ধের উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘‘ওঠ, তাড়াতাড়ি চল।’’

তখন কৌতুহল থেকে রোগীর কে হন তা ওই বৃদ্ধার কাছে জানতে চান চিকিৎসক। জবাবে শতবর্ষী বৃদ্ধা জানান, ৭০ বছর বয়সী ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছেন তিনি।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলা সদরের গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান জানান, হাসপাতালে এসে আজ বিরল ঘটনার সাক্ষী হলাম। মা তো মা-ই। মায়ের ভালোবাসা কখনো নিঃশেষ হয় না। সন্তান মাকে ছেড়ে যায়, কিন্তু মা সন্তানকে কোনো পরিস্থিতিতেই ছেড়ে যান না।

বিষয়টি ডা. মোমিন ছবি তুলে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিলে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

ওই নারীর বরাত দিয়ে ডা. মকসেদুল মোমিন জানান, বাড়িতে তার সবাই আছে। তারপরেও ৭০ বছরের ছেলেকে নিজেই হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন চিকিৎসা করাতে। ছেলেটা অনেক দিন ধরে অসুস্থ।

তিনি আরও বলেন, বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছিল। ভিড়ের ভেতর চিকিৎসা দেওয়ার সময় ছবি তুলেছি, বয়স জেনেছি। কিন্তু ঠিকানাটা নেওয়া হয়নি।