অনলাইন ডেস্কঃ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে ‘স্বাধীনতা’ ঘোষণার পর শুরু করা যুদ্ধই শেষ নয়, মলদোভায় রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে একটি স্থল সেতু নির্মাণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক এভ্রিল হেইনস এই দাবি করেন বলে বার্তা সংস্থা ফ্রান্সটুয়েন্টি ফোর বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এদিকে, রাশিয়া মলদোভাকে হুমকি দিচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী আনা রেভেনকো। তিনি বলেন, মুহূর্তে আমাদের উদ্বেগ, এবং সবচেয়ে বড় হুমকি হলো অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা অস্থিতিশীল করার হুমকি।
যদিও মলদোভায় আক্রমণের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেনি রাশিয়া।
এর আগে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়াই রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য বলে রুশ সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডার মেজর জেনারেল রুস্তম মিনানকায়েভ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে রাশিয়ার ওই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়েছিল মলদোভা।
মলদোভার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছিল, এই বিবৃতিগুলো ভিত্তিহীন এবং মলদোভা প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার সমর্থন জানিয়ে আসা রাশিয়ান ফেডারেশনের অবস্থানের পরিপন্থী।
এর আগের বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়ে ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছিল, বৈঠকের সময়, পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল যে মলদোভা প্রজাতন্ত্র ... একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং এই বিষয়টি রাশিয়ান ফেডারেশনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গণের সবার মেনে চলা উচিত।
রুস্তম মিনানকায়েভ ঘোষণা অনুযায়ী রাশিয়ার ওই লক্ষ্য অর্জিত হলে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ভূখণ্ডের একটি সরাসরি স্থল-যোগাযোগ তৈরি হবে।
এছাড়া এটা মস্কোর সঙ্গে মলদোভায় রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী ট্রান্সনিস্ত্রিয়া অঞ্চলের যোগাযোগ তৈরি করতেও সহায়তা করবে। ট্রান্সনিস্ত্রিয়া ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্ত এলাকায় একটি ছোট অঞ্চল। এটি মলদোভার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও এই অঞ্চলের মানুষ নিজেদেরকে আলাদা দেশ হিসেবে দাবি করে।
মলদোভা ও ইউক্রেনের সীমান্তে অবস্থিত এ অঞ্চলটি। ১৯৯২ সালে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ছোটখাটো একটি যুদ্ধের পর ট্রান্সনিসট্রিয়াকে আলাদা করে ফেলে। ওই যুদ্ধে রাশিয়া তাদের সহায়তা করে। এরপর থেকে সেখানে প্রায় ২ হাজার রুশ সেনা ও ৩০০ শান্তিরক্ষী অবস্থান করছে।
রাশিয়ার কমান্ডার রুস্তম মিনানকায়েভ দাবি করেছেন, ট্রান্সনিসট্রিয়ার থাকায় রুশভাষী মানুষ নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। তাদেরও রাশিয়া সহায়তা করতে চায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.