Notuner Kotha

কচুয়ায় আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হওয়া সেই সহকারি শিক্ষিকা এখন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী!

অনলাইন ডেস্ক:
কচুয়ায় আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হওয়া সেই শিক্ষিকা এখন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী হয়েছে। পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হওয়া সেই শিক্ষককে বিয়ে করেছে।
কিছু দিন পূর্বে কচুয়া উপজেলার শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর ও তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সালমা আক্তারের সাথে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। জাহাঙ্গীর ও সালমা কী তা হলে প্রেমে পড়েছে? গত ১৪ মে/২০১৯ কচুয়া পৌরসভাধীন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মার্কেটের স্টুডিও মিনতির পরিচালক সুমন রায়ের ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয়া ছবিটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়ার পরপরই তাদের দু’জনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোরালো দাবি উঠতে শুরু করে।

এক সন্তানের জননী সালমা আক্তার ভাইরাল হওয়া ছবি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, আমি আলীগঞ্জ পিটিআই’তে প্রশিক্ষণে রয়েছি। বিভিন্ন সময় জাহাঙ্গীর স্যারের সাথে আমার ফোনে কথা এবং দেখা হয়। তিনি বিভিন্ন সময় আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দিতেন এবং আমি ওইসব কাজ করে দেই। এভাবেই তার সাথে আমার পরিচয় হয়ে উঠে। গত ৬ মে সোমবার জাহাঙ্গীর স্যার আমাকে ফোনে হাজীগঞ্জের একটি বাসায় যেতে বলে। পিটিআই’র ছুটি হওয়ার পর আমি ওই বাসায় যাই। ওই বাসায়ই ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিটি তোলা হয়।

এদিকে এক সন্তানের জনক কচুয়া পৌরসভাধীন ধামালুয়া গ্রামের অধিবাসী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, সালমার সাথে আমার সাধারণ পরিচিতি ছাড়া অন্য কোনো সম্পর্ক নেই। ভাইরাল হওয়া ছবি সম্পর্কে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

জাহাঙ্গীর ও সালামার বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার  মো. শাহিনুর রহমান মজুমদার জানান, তদন্তে তারা স্বামী-স্ত্রী বলে জানাগেছে। সালাম তার প্রবাসি স্বামীকে তালাক দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে বিয়ে করেছে।

এ বিষয়ে সদ্য বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর ও সালমার সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার চেসটা করেও তাদের পোণ বন্ধ পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।