Notuner Kotha

মেঘনায় ট্রলারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, মালামাল লুট, আহত ২

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ব্যবসায়ীদের দুটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাদের অর্ধকোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এতে আহত হন তিন ব্যবসায়ী। রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদীর সফরমালী লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে আক্কাস শেখ (৩৫), উজ্জল মাঝি (২৫) ও হাকিম গাজীকে (৪৮) চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ ও গৌরাঙ্গ বাজারের ব্যবসা করেন।

ট্রলারে থাকা আহত ব্যবসায়ী হাকিম আলী গাজী বলেন, মেঘনা নদীর সফরমালী লঞ্চঘাটের কাছে এলে স্পিডবোট নিয়ে ৮ থেকে ৯ জন মুখোশধারী কাটারাইফেল, শটগান, রামদা ও রড নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের কাছে থাকা টাকাপয়সা লুটে নেয়। তারা আমাদের মোবাইলগুলোও নিয়ে যায়। পরে ডাকাতরা মেঘনা নদীর উত্তর দিকে চলে যায়। তাদের গায়ে লাইফ জ্যাকেট ছিল।

ট্রলারের মাঝি উজ্জল শেখ বলেন, আমার ট্রলারে ডাকাতরা স্পিডবোট দিয়ে উঠেই মারধর শুরু করে। কয়েকজন ব্যবসায়ী ট্রলারের সঙ্গে আসেননাই। তারা আমার কাছে চাঁদপুরের পার্টিদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। সব টাকাই ডাকাতরা নিয়ে গেছে।

আহত পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী আক্কাস শেখ বলেন, আমার কাছে ৯ লাখ টাকা ছিল। টাকা দিতে দেরি করায় রড দিয়ে মেরে আমার হাত ভেঙে ফেলে এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এ ছাড়া তেলের ডিলার ব্যাপারী ট্রেডার্সের মালিক আতাউর রহমান সবুজের ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তেলের ডিলার নাইমা ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ হোসেনের ৩ লাখ ১১ হাজার, মরিচের পাইকার খোকন মেম্বারের ৩ লাখ ১০ হাজার, গৌরাঙ্গ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী কামাল মল্লিকের ৩ লাখ ১৫ হাজার এবং রহম আলী গাজীর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে।

চাঁদপুর নৌ-পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান বলেন, আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুর সদর ও মোহনপুর নৌ-পুলিশের ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। পরপর নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত এসপিকেও পাঠিয়েছি। ব্যবসায়ীদের নিখোঁজ মোবাইলের নম্বর আমার কাছে চলে আসছে। আমি সেগুলো নিয়ে ডাকাতদের ধরার বিষয়ে যা যা করণীয়, সবই করছি। আশা করি তাদের ধরতে পারব।

ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসা চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, ডাকাতদের ধরার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজই আমরা শুরু করে দিয়েছি। এ ঘটনায় স্থানীয়দের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে এত টাকা নিয়ে নৌপথে মোকামে গেলে আমাদের সহযোগিতা নিলে ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ হবে।