বরিশালে মাঝ নদীতে লঞ্চে আগুন লাগার ভিডিও ধারণ করায় যাত্রী ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় ওই লঞ্চের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লঞ্চটির মালিকদের একজন রেজিন-উল কবির।
এদিকে তীরে এসে পৌঁছেছে মেঘনায় মাঝ নদীতে ইঞ্জিনে আগুন লাগা যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৯। রোববার বেলা ১১টায় বরিশাল খেয়াঘাটে এসে পৌঁছায় লঞ্চটি।
যাত্রীদের অভিযোগ, রাতে ইঞ্জিন রুমে এবং সাইলেন্সারে আগুন লাগার দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও করায় তাদেরকে মারধর করেন লঞ্চটির কর্মচারীরা।
আগুন লাগার দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন বেসরকারি দুই টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাপারসনও।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে লঞ্চের ম্যানেজার মিজানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সুরভী ৯-এর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খবর ঘটনাস্থলে সেখানে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাদের তদন্তে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগার নানা আলামত পাওয়া গেছে। যে ইঞ্জিনে আগুন লাগে তার ধোয়া নির্গমন পাইপটি পুড়ে গেছে। এ ছাড়া লঞ্চটি যে এক ইঞ্জিনে চলছিল তাও স্বীকার করেছে এর মালিকপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা বলছেন, ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিল বলেই এমনটি হয়েছে।
লঞ্চটির মালিকদের একজন রেজিন-উল কবির মোবাইল ফোনে বলেন, যাত্রী এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় লঞ্চের ম্যানেজার মিজানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সুরভী ৯। চাঁদপুরের মোহনপুরের কাছাকাছি এলে ইঞ্জিনে আগুন দেখতে পেয়ে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন কয়েকজন যাত্রী। পরে লঞ্চটি মোহনপুর ঘাটে থামিয়ে সব যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পুরোপুরি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এটি আবার যাত্রী নিয়ে বরিশালে আসে।
এর আগে ঢাকা বরগুনা রুটের লঞ্চ অভিযান-১০এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে পুড়ে ৪২ জনের মৃত্যু হওয়ার পর থেকেই লঞ্চে আগুন আতঙ্কে ভুগছে যাত্রীরা।