Notuner Kotha

ভারতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ১৭০ কোটি টাকা, এখনও চলছে তল্লাশি!

ভারতের আয়কর বিভাগের এক অভিযানে যা ঘটেছে তার জন্য আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারাও প্রস্তুত ছিল না। কেননা যে পরিমাণ নগদ অর্থ এই এক অভিযানে উদ্ধার করেছেন তারা, সেগুলো গুনতেই হয়রান হয়ে পড়েছেন কর্মকর্তারা। অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ভারতের উত্তর প্রদেশের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় ১৫০ কোটি রুপি (প্রায় ১৭০ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা) উদ্ধার করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি)।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক সরকারি সূত্র বলেছে, ‘শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত টাকা গোনার কাজ চলেছে। রবিবারও ওই ব্যক্তির বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চলছে।’ কেন্দ্রীয় আয়কর দফতর জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি নগদ উদ্ধার করল আয়কর দফতর। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এখনও তল্লাশি চলার কারণে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কানপুর, কনৌজ এবং মুম্বাইয়ে পীযূষের দফতরে শনিবারও তল্লাশি চালাচ্ছেন কর্তারা।

কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে পীযূষের বাড়ি এবং বিভিন্ন সংস্থায় আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা শুক্রবার থেকে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। তারা জানান, ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভুয়ো ইনভয়েস দিয়ে জিনিস পাঠানো, ই-ওয়ে বিল ছাড়া জিনিস পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল। ভুয়ো সংস্থার নামেও ইনভয়েস তৈরি করার অভিযোগ ছিল। ৫০ হাজার টাকার ২০০টি এমন ভুয়ো ইনভয়েস পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ পীযূষের সংস্থার বিরুদ্ধে। সুগন্ধী দ্রব্যের ব্যবসা ছাড়াও পীযূষের পানমশলা, কোল্ড স্টোর, পেট্রল পাম্পেরও ব্যবসা রয়েছে। আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা প্রথমে আনন্দপুরীত পীযূষের বাড়িতে তল্লাশি চালান। সেখানেই উদ্ধার হয় ১৫০ কোটির নোট। তিনটি টাকা গোনার মেশিন এনে গভীর রাত পর্যন্ত চলে টাকা গোনার কাজ। শনিবার তাঁর বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চলছে।

কানপুরের আয়কর বিভাগ যে ছবি দিয়েছে, তাতে দেখা যায়, আধিকারিকেরা মাটিতে নোটের স্তূপের মধ্যে বসে মেশিনের সাহায্যে টাকা গুনছেন। অন্য ছবিতে দেখা যায়, পীযূষের বাড়ির আলমারি ভর্তি টাকা। যে নোট রাখা হয়েছে ছোটছোট বাক্সে। হলুদ টেপ দিয়ে যে বাক্সের মুখ বন্ধ করা। আয়কর দফতরের ওই সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছে, ‘উদ্ধার হওয়া অর্থের বেশিরভাগই ৫০০ টাকার নোট। এ ছাড়া কিছু ২০০০ হাজার টাকার নোটও রয়েছে।’ ওই সূত্র আরও বলেছে, ‘রশিদ ছাড়া ভুয়ো ইনভয়েস তৈরি করে নগদে কারবার করার কথা স্বীকার করেছেন পীযূষ।