Notuner Kotha

মৈশাদী বেলতলী রেলওয়ের ব্রীজ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ

সজীব খান:
চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের বেলতলী সংলগ্ন রেলওয়ের ব্রিজ দিয়ে হামানকর্দ্দি পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়, শাহতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহতলী কামিল মাদ্রাসাসহ আশ পাশের কয়েকটি কিন্ডারগার্ডেনের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়েত করতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।  প্রতিনিয়ত কমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করছে। ব্রিজটির উপর কাঠ না থাকার কারনে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে পারাপার হচ্ছে। ব্রিজটিতে কাঠ দেওয়া থাকলে শিক্ষার্থীরা সহযে যাতায়েত করতে পারতো বলে তারা জানিয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যদি ব্রিজটিতে কাঠ দেওয়ার অনুমতির ব্যবস্থা করতো, তাহলে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দে যাতায়েত করতে পারতো। ঝুঁকি এড়িয়ে শিক্ষার্থীরা  বিদ্যালয়ের  যাতায়েত করতে হতোনা।
হামানকর্দ্দি পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়, শাহতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহতলী কামিল মাদ্রাসার কয়েকশতাধীক ছাত্রছাত্রী এ রেলওয়ের ব্রিজ দিয়ে প্রতিনিয়তই যাতায়েত করতে হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়েতের একমাত্র পথই হচ্ছে রেলওয়ের এ ব্রিজটি। বাধ্য হয়ে তারা ঝুঁকি নিয়েই যাতায়েত করছে।
হামানকর্দ্দি পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা জানান, রেলওয়ের এ ব্রিজটি দিয়ে পারাপার হতে আমাদের আতংকের মধ্য থাকতে হচ্ছে, লম্বা এ ব্রিজটিতে কাঠের ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্য নিরাপদে আসা যাওয়া করতে পারতো। অনেক সময় রেল আসলে দ্রুত পারাপার হতে হচ্ছে, তখন বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকায় শিক্ষার্থীদের থাকতে হচ্ছে।
৫৫নং শাহতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার দত্ত বলেন রেলওয়ের ব্রিজটি দিয়ে আমার বিদ্যালয়ের ২৫ ভাগ  শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করছে, অনেক শিক্ষার্থী ব্রিজটি পারাপার হতে কারোনা কারো সহযোগীতা নিতে হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ যদি ব্রিজটিতে কাঠ দেওয়ার অনুমতির দিত, তাহলে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়েতের চরম উপকারে আসতো, একই বক্তব্য অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এলাকাবাসী ব্রিজটিতে কাঠের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।