Notuner Kotha

চাঁদপুরে সীমত লকডাউনে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চলতে হবে: মাহমুদ জামান

চাঁদপুর, ৩০ মে, শনিবার:

সরকারি সিদ্ধান্তরে আলোকে সীমিত আকারে গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছে রবিবার (৩১ মে) থেকে। এই সময়ে গণপরিবহন, ট্রেন ও লঞ্চগুলো যাত্রী পরিবহন করার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কি ধরণের ব্যবস্থা রাখতে হবে এসব বিষয় নিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৩০ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

তিনি বক্তব্যে বলেন, লকডাউন অনেকটা সীমিত করা হয়েছে। আর এই সময়ের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তা মানার পাশাপাশি আমরা স্থানীয় ভাবে কিছু নির্দেশা দিয়েছি। দুই নির্দেশনা সম্বনয় করে চলে আমাদের চাঁদপুর যাতে করোনার ভয়বহতা থেকে রক্ষা পায় এই ব্যাপারে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করি। আমাদের সকলকে নিজের, ক্রেতা ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।

তিনি ব্যবসায়ী ও লঞ্চ, বাস মালিক কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, রোববার থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হবে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলবে স্বাভাবিক ভাবেই যানজট বাড়বে। সেই ক্ষেত্রে আপনারা যাত্রী ও ক্রেতাদেরকে নিরাপদ এবং সচেতন করার চেষ্টা করবেন। লঞ্চঘাট, বাস ও রেল টার্মিনাল জীবানু নাশক ট্যানেল ও থার্মাল মিটার অব্যশই থাকতে হবে। ঘরের বাহিরে যে কোন ব্যাক্তি প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরবে। পাশাপাশি যারা যাত্রী হয়ে পরিবহনে উঠবেন এবং মার্কেটে আসবে তাদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোন যাত্রী যানবাহনে যেতে পারবে না।

তিনি বলেন, লঞ্চঘাটের জন্য নৌ-পুলিশের পাশাপাশি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। লঞ্চঘাটে কোন ধরণের অনিয়ম হলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চাঁদপুর জেলা থেকে বাহিরে এবং অন্য জেলা থেকে চাঁদপুরে প্রবেশ করতে পারবে না। অটোরিকশার সামনে অর্থাৎ চালকের পাশে কোন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না।

ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এবং খাবার হোটেল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হোটেলে খাবার পরিবেশন করবে এবং চেষ্টা করতে হবে প্যাকেট খাবার বেশী বিক্রি করা।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম. জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ জামাল হোসেন, জেলা মার্কেটিং অফিসার এন.এম. রেজাউল করিম, বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, চাঁদপুর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক হায়দার চৌধুরী, বাস শ্রমিক কল্যান সমিতির সভাপতি মো. বাবুল মিজি, লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার প্রমূখ। সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি, হোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।