চাঁদপুর, ১৮ মে, সোমবার:
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান ‘বিধ্বংসী’ শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ হাতিয়া দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
চাঁদপুরে নদী উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদেরকে প্রয়োজনে নিরাপদে আশ্রয় আনাসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা দূর্যোগ প্রতিরোধ কমিটি ও উপকূলীয় এলাকার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে দু’টি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ মে) রাতে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বিষয়টি নতুনেরকথাকে নিশ্চিত করেছেন।
এডিসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদী উপকূলীয় চাঁদপুর সদরের ৮টি, মতলব উত্তরের ৬টি ও হাইমচর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বাসিন্দাদেরকে প্রয়োজনে নিরাপদে আনার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে তাদেরকে আনা হবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিস্কার করে ছাবিগুলো কাছাকাছি রাখার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে বলা হয়েছে। ওইসব এলাকার লোকদেরকে সচেতন থাকার জন্য স্থানীয় ভাবে মাইকিং করে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় রোববার (১৭ মে) রাত ৯টায় জেলা দূর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির বার্চুয়াল জরুরি সভা হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, সকল এডিসি, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট সকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সকল ইউএনও, জেলা ত্রান কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সভায় অংশগ্রহন করেন।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যদি উপকূলীয় এলাকার লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাদেরকে তাৎক্ষনিক সহায়তা করার জন্য আমাদের ত্রাণসহ সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
এছাড়া সরকারি নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন ও ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা করার জন্য আজ সোমবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা উপকূলীয় ১৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, পিআইও, মৎস্য কর্মকর্তাদের নিয়ে আরেকটি বার্চুয়াল সভা হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় একটি মেডিকেল টীম প্রস্তুত থাকবে। এই বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সাখাওয়াত উল্লাহ প্রস্তুতি নিবেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করে প্রচার করা হবে। যাতে করে উপকূলীয় এলাকার লোকজন সতর্ক থাকেন। এসব এলাকার মৎস্য চাষীদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। কারণ পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তাগণ ব্যবস্থা নিবেন। এছাড়াও চাঁদপুর জেলায় ইতোমধ্যে ৮০% ধান কর্তন হয়েছে। বাকী ২০% ধান যাতে করে কৃষকরা খুব দ্রুত কেটে বাড়ীতে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.