অনলাইন ডেস্ক:
রংপুরে বাসা থেকে দুই বছরের শিশুকন্যাসহ এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী-স্ত্রী ও কন্যাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে ঘটনা নিশ্চিত হতে হাফিজুলের এক ছোট ভাইকে খুঁজছে পুলিশ।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল বালাপাড়া এলাকার হাফিজুল, তার স্ত্রী ফাতেমা ও দেড় বছরের মেয়ে হুমায়রা শুক্রবার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে হাফিজুলের ভাই রবিউলের চিৎকারে তারা ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খোলা অবস্থায়, ভেতরে তিন জনের লাশ দেখতে পান। এরপর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে লাশগুলো উদ্ধার করে।
একজন বলেন, প্রথম দেখি মেয়েটার গলাকাটা লাশ তার পাশে বাচ্চাটারও গলাকাটা, তার পাশেই ছেলেটার গলাকাটা লাশ মাটিতে পড়ে আছে।
স্বজনদের দাবি, হাফিজুলের স্ত্রী ফাতেমা ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করে সংসার চলাতেন। বছর তিনেক আগে সে গ্রামে ফিরে আসার পর থেকে অভাব-অনটনের কারণে প্রায় স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়াঝাটি হতো। শুক্রবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ফাতেমার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের টাকার জন্য হাফিজুলের পরিবার তাদের হত্যা করে পালিয়েছে।
ফাতেমার স্বজনদের একজন বলেন, যৌতুক দিতে চাইছিলাম ৬ লাখ টাকা দিয়ে দিছি। এরপরেও অনেক অন্যায় অত্যাচার করছে।
তবে পুলিশের ধারণা, স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার পর হাফিজুল আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে হাফিজুলের ভাই রবিউলকে ধরতে পারলে আসল রহস্য উদঘাটন হতে পারে।
রংপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল-মারুফ হোসাইন বলেন, প্রথমিকভাবে এটাকে পারিবারিক সমস্যা মনে হচ্ছে। আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করলে হত্যার আসল কারণ জানতে পারব।
রবিউলই প্রথম দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। কিন্তু তারপর রবিউলসহ হাফিজুলের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.