অনলাইন ডেস্ক:
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ২২জন কৃষি শ্রমিক মারা গেছেন। তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে এবং আরো যদি মারা যায় তাদের পরিবারকেও কমপক্ষে এক লাখ টাকা করে সাহায্য দেয়া হবে।
শনিবার টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও করণীয় বিষয়ে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম করলে উপজেলা চেয়ারম্যানদেরও ক্ষমা করা হবে না বলে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং দরিদ্র মানুষদের ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। এই ত্রাণ বিতরণে যারা অনিয়ম করবে, দুর্নীতি করবে, যারা গরিবের ত্রাণ অপব্যবহার করবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। কে কোন দলের এটি ব্যাপার না। যেই হোক সে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার যারাই ত্রাণ নিয়ে অসৎ পথে যাবে তাদেরকে কোনোক্রমে ক্ষমা করা হবে না।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাওর এলাকায় ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম, কারণ পাহাড়ি ঢলে ধান অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। খুশির কথা হাওর অঞ্চলের ৮০ ভাগ ধান ইতিমধ্যেই কাটা হয়ে গেছে। কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার ধান কাটা কিছুটা পিছিয়ে আছে।
এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে আশা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকের কাছ থেকে এবার ৮ লাখ টন ধান কেনা হবে। এছাড়াও ১১/১২ লাখ টন চাল কেনা হবে। প্রয়োজনে আরো বেশি কেনার চিন্তাভাবনা আছে। যাতে কৃষক ধানের দাম পায়। লটারির মাধ্যমে ধান কেনা হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভাব এখানে কাজ করবে না। স্বচ্ছভাবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি ,আতাউর রহমান খান এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সেনাবাহিনীর লেফটেনেন্ট কর্নেল সোহেল রানা, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন মো. ওয়াহীদুজ্জামান, পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.